বিশেষ প্রতিনিধি:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২৪ জানুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন করতে হবে। এদিন আমাদের মেয়াদ শেষ। সেদিন থেকে আগের তিন মাস অর্থাৎ ৯০ দিনের মধ্যে ইলেকশন শেষ করতে হবে। এভাবেই আমাদের সংবিধানে নির্দিষ্ট করে দেয়া আছে।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপির মধ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষণ নেই। বিএনপি চায় নির্বাচন বানচাল করতে। আমরা বারবার বলে আসছি এরা (বিএনপি) ইলেকশন করবে না। এই দলের কেউ নির্বাচন চাইলে, এরকম সহিংসতার আশ্রয় নিতে পারে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির অন্তরে বিবেক ও চেতনা নেই। এরা মনে-প্রাণে, চেতনায় সন্ত্রাস। এরা সন্ত্রাস ছাড়া কিছু বোঝে না। এরা নির্বাচন করবে কি করবে না এটা তাদের বিষয়।
তিনি বলেন, গত তিন দিনের মত ঐক্য আওয়ামী লীগ ধরে রাখতে পারলে চতুর্থ বারের মত আমরা বিজয়ী হবো। বাংলাদেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। স্মার্ট বাংলাদেশের বাস্তবতা উন্নয়নের মহাসড়কে। উন্নয়নের মাইলস্টোন অর্জনের জন্য উন্নতি করার আরও জায়গা আছে।
বিএনপি বিহীন নির্বাচন আওয়ামী লীগ চায় কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সে ধরনের চিন্তাও করি না। কোন বিহীন বা যুক্তের ব্যাপার না। ইলেকশন, ইলেকশনের মত চলবে। সংবিধান ফলো করেই নির্বাচন হবে। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবেই হবে। কোন ব্যতিক্রম হবে না।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কাউকে বাদ দিয়ে কথা বলবো না। আমরা কম্পিটিটিভ নির্বাচন চায়। বিএনপি একটা বড় দল। আমরা তাদের পার্টিসিপেশন চাই। তারা আসলে আমরা ওয়েলকাম করব।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, কামরুল ইসলাম, আবদুর রহমান, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম আতিক ও দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।