গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি মতিউর রহমান (দুলাল):
গোয়াইনঘাট উপজেলা কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশন ভিত্তিহীন কোন প্রতিষ্ঠানের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করার আহ্বান জানিয়েছে গোয়াইনঘাট কিন্টারগার্টেন এসোসিয়েশনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে। এনিয়ে জনমনে রীতিমতো ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলার সকল কিন্ডার গার্টেন ও নুরানি মাদ্রাসাগুলো নিয়ে গঠিত ৭ টি বিদ্যালয় নিয়ে সংগঠনটি ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্টার পর থেকে সংগঠনটি গোয়াইনঘাট উপজেলার শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে ও প্রতি বছর নিজেদের প্রতিষ্টানের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য উপজেলা প্রশাসন ও স্হানীয় জনপ্রতিনীদিদের সহযোগিতায় বাৎসরিক একটি বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করে যাচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে কিছু ভিত্তিহীন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বৃত্তি পরীক্ষার নামে ফি আদায় করে। বৃত্তি পরীক্ষা নিলেও মানসম্মত রেজাল্ট এবং পুরস্কার দেওয়ার কোন ব্যবস্থা করা হয় না।পক্ষান্তরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে আগ্রহ হারায়।
বিষয়টি নিয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলার কিন্টার গার্টেন এসোসিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক সভাপতি বদরুল ইসলাম,প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক সহ-সভাপতি বোরহান উদ্দিন,প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ফারুক আহমদ ও ফয়জুল হাসান গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত দরখাস্ত পেশ করেন।যাতে বৃত্তি পরীক্ষার নামে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণা করা না হয়।
গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ এ বিষয়ে বলেন,গোয়াইনঘাট উপজেলার কিন্টারগার্টেন এসোসিয়নের একটি লিখিত অভিযোগ আমার কাছে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে দেওয়া হয়েছে।গতবছর একটি প্রতিষ্ঠান বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে বৃত্তির পুরস্কার দেয় নাই। তবে সত্য কতটুকু আমি জানিনা,যদি এটা সত্যি হয়ে থাকে তাহলে রীতিমতো কোমলতি শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে।তাদের নিয়ে খেলা করার অধিকার কারো নেই।তিনি বলেন,আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলেছি।বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে যদি সত্য হয় তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।