স্বাস্থ্যসেবা প্রতিদিন:
শীত মৌসুমে শুষ্কতা প্রতিরোধে সতেজ ও সুস্থ থাকার পাশাপাশি সচেতনতার শেষ নেই, সতর্কতার জন্য যেসব খাবার নিয়মিত খেতে পারেন, এবং শরীর কে সুস্থ রাখতে প্রয়োজন শীতের এ-সব খাবার।
১.কমলা
শীতের খাবার হিসেবে কমলা ভালো একটি সাইট্রাস জাতীয় ফল। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি শীতকালে বিভিন্ন রোগব্যাধি থেকে শরীরকে রক্ষা করবে। আর ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতেও সাহায্য করবে।
২.গাজর
শীতের খাবার হিসেবে গাজরও বেশ ভালো। গাজরের মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ বেটা ক্যারোটিন। গাজর বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা কমিয়ে ফুসফুসকে সুরক্ষা দেয়।
৩.ডিম
ডিমের মধ্যে রয়েছে নয়টি প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো এসিড। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও আয়রন। বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে প্রতিরোধে ডিম কার্যকর। ডিমে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন, যেমন—বি২, বি১২, এ ও ই; রয়েছে জিংক, ফসফরাস এবং প্রয়োজনীয় মিনারেল। শীতের খাবার হিসেবে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় তাই ডিম রাখতে পারেন। শুধু শীত নয়, সারা বছরই ডিম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু ভাল মানের ডিম না খাওয়ার কারণে সেই উপকার থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি প্রতিনিয়ত। ডিমের সমস্ত উপকারীতা পাওয়ার জন্য খান:
৪.আদা
শীতকালে আদার চা না হলে কি হয়? সকালে এক কাপ রঙ চা আদা সহ – এ যেন এক পরম পাওয়া! অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আদা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। এটি শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। বিভিন্ন ধরনের ফ্লু প্রতিরোধে কাজ করে। প্রতিদিন সকালে শীতের খাবার হিসেবে তাই আদা রাখুন।
৫.কাঠবাদাম
কাঠবাদাম অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর একটি খাবার। এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই শীতের খাবার হিসেবে এর কদর বেশ।
৬.মাশরুম
মাশরুম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শীতে ঠান্ডা ও ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে মাশরুম খুব উপকারী। তাই শীতের খাবার হিসেবে আপনার খাদ্যতালিকায় অবশ্যই মাশরুম রাখুন!
৭.রসুন
জ্বর ও ঠান্ডার জাতীয় রোগব্যাধির জন্য রসুন খাওয়া ভালো। রসুন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এ ক্ষেত্রে কাঁচা রসুন সবচেয়ে ভালো কাজ করে। তবে হজমে সমস্যা হলে রসুন রান্না করেও খেতে পারেন। শীতের সময় তাই রসুন সেবন করুন।
৮.মধু
জ্বর ও ঠান্ডা প্রতিরোধে মধু সবচেয়ে নিরাপদ খাবার। শীতের খাবার হিসেবে তো মধুর কোন জুড়িই নেই। মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এটি ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে।
প্রয়োজনীয় মনে হলে শেয়ার করে অন্যদের জানান৷