ইসলাম প্রতিদিনঃ
পবিত্র কোরআন শরিফের ১০৯ নম্বর সুরা হলো সুরায়ে কাফিরুন। পবিত্র মক্কায় নগরীতে নাজিল হওয়া এই সুরাটি খুব খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ সুরায় তাওহিদের শিক্ষা এবং মুশরিকদের সঙ্গে সম্পর্কহীনতার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এই সুরায় কাফিরদের লোভনীয় প্রস্তাব এবং তাদের ভ্রান্ত মতবাদ বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়।
(তাফসিরে জালালাইন আরবি-বাংলা : ৭/৫৯৬)
প্রতিদিন সুরা কাফিরুন পাঠ
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে সুরা কাফিরুন খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি সুন্নত নামাজে এটি পড়তেন। বাইতুল্লাহর তাওয়াফ শেষ করার পরের নামাজেও তিনি এটা পড়তেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ফজরের সুন্নত নামাজে সুরা কাফিরুন ও সুরা ইখলাস পাঠ করতেন।
(সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৫৬৩, আবু দাউদ, হাদিস : ১২৪৬)
ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ফজরের সুন্নত দুই রাকাতে এবং মাগরিবের সুন্নত দুই রাকাতে সুরা কাফিরুন ও সুরা ইখলাস পাঠ করতেন। (মুসনাদে আহমাদ : ২/২৪)
সুরা কাফিরুনের ফজিলত
সুরা কাফিরুন ছোট্ট একটি সুরা। মাত্র ছয়টি আয়াত। পড়তে এক মিনিট লাগে না।
অথচ পাঠ করার সওয়াব অনেক বেশি। আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ইজা জুলজিলাত সুরা যে ব্যক্তি পাঠ করবে, অর্ধেক কোরআনের সমান তার সওয়াব হবে। ক্বুল ইয়া আইয়্যুহাল কাফিরুন যে ব্যক্তি পাঠ করবে, তার কোরআনের এক-চতুর্থাংশ পাঠের সমান সওয়াব হবে। (জামে তিরমিজি, হাদিস : ২৮৯৩)
সুরা কাফিরুন ও নিরাপত্তা
শরিয়তসম্মত ‘রুকইয়া’ (নিরাপত্তা কবজ) করার বিধান আছে। আর রুকইয়ার জন্য নির্ধারিত আয়াতের অন্যতম হলো সুরা কাফিরুন।
রাতে ঘুমানোর আগে এই সুরা পাঠ করার কথা আছে। ফারওয়া বিন নওফল (রহ.) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, একবার নবীজি (সা.) তাঁকে বলেন, তুমি শোয়ার সময় সুরা কাফিরুন তিলাওয়াত করবে। কেননা এই সুরা শিরক থেকে মুক্তি দানকারী। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯৭১, মুস্তাদরাকে হাকেম : ২/৫৩৮)।