Friday, November 8, 2024
Homeবিনোদনলাইফস্টাইলবহুগুণে গুণান্বিত নিম, নিম একটি ঔষধীয় গাছ

বহুগুণে গুণান্বিত নিম, নিম একটি ঔষধীয় গাছ

 

লাইফস্টাইলঃ

নিম এমন একটি ওষুধি গাছ যার ডাল, পাতা, রস সবই কাজে লাগে। শরীরের একাধিক সমস্যা কমাতে নিমের ব্যবহার অপরিহার্য।

 

নিম গাছের উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যায় না। নিম পাতা সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গোসল করলে ত্বকের নানা ধরনের খোসপাঁচড়া নিরাময় হয়। কৃমিনাশক হিসেবে নিমের রস খুবই কার্যকর। ত্বকের দাগ দূর করতে নিম খুব ভালো কাজ করে। মাথার ত্বকে অনেক সময়ই চুলকানি ভাব হয়, নিমপাতার রস মাথায় নিয়মিত লাগালে এই চুলকানি কমে।

 

 

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের মতে, নিম পাতায় রয়েছে বহু ওষুধের গুণাবলী। রূপচর্চায় নিমের ব্যবহার হয়ে আসছে বহু বছর ধরে। ত্বকের দাগ দূর করতে নিম খুব ভালো কাজ করে। এছাড়াও এটি ত্বকে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।

 

 

অনেকেরই প্রশ্ন নিম পাতা কীভাবে খাবেন? সাধারণ খাবারের পর নিমের পানি পান করতে পারেন। এছাড়া নিম পাতা ত্বকের সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে সাহায্য করে। নিমের পেস্ট তৈরি করে ব্যবহারের মাধ্যমে উকুনের সমস্যা দূর করা যায়। আবার নিম পাতার রস রক্ত পরিষ্কার করে ও রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়।

 

নিমের পাতা ও ছালের গুড়ো কিংবা নিমের ডাল দিয়ে নিয়মিত দাত মাজলে দাঁত মজবুত হয়। দাঁতের নানা ধরনের রোগও সারে।

 

চুলের খুশকি দূর করতে শ্যাম্পু করার সময় নিমপাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে চুল ম্যাসেজ করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এতে খুশকি দূর হবে।নিমপাতার রস রক্ত পরিষ্কার করে। সকালে খালি পেটে ৫টি গোলমরিচ ও ১০টি নিম পাতা বেটে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে। এছাড়াও রক্তচলাচল বাড়িয়ে হৃৎপিণ্ডের গতি স্বাভাবিক রাখে। পোকা মাকড় কামড় দিলে নিমের মূলের ছাল বা পাতা বেটে ক্ষত স্থানে লাগালে ব্যথা উপশম হবে। নিমপাতার গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে মুখ ধুতে পারেন। এতে ব্রণ দূর হবে এবং ব্রণ থেকে তৈরি জ্বালাপোড়া ভাবও দূর হবে। এটা ব্রণ দূর করার একটি কার্যকর পদ্ধতি।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments