রাসেল আহমদ:::
বাঘ আতঙ্কে রয়েছেন সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার ঘোগারকুল ও রনকেলীসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা। যেকোন সময় আক্রমণের ভয়ে রয়েছেন এলাকাবাসী।বাঘের হাত থেকে রক্ষা পেতে রাতে ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছেন না।তেমন টিলা-জঙ্গলবেষ্টিত এলাকা নয় এর মধ্যেই বাঘের মতে প্রানী দেখে আতঙ্কে লোকজন।
গত দুইদিন থেকে রাতে রনকেলী গ্রামের চৌধুরী বাড়িতে একটি ও ঘোগারকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশপাশে দুইটি বাঘের মতো প্রানী দেখতে পাচ্ছেন এলাকার কয়েকজন লোক। ভোরে সেই প্রানীকে আবার দেখা যায় না।এলাকাবাসীর ধারণা প্রানীটি মাঠ ছেড়ে পাশের জঙ্গলে চলে যায়।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, বাঘ এলাকায় কীভাবে এসেছে তা আমরা জানি না।শুধু এলাকার লোকদের কাছ থেকে শুনছি তারা নাকি দেখছেন হুবহু বাঘের মতো প্রাণী।রাতে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায় আবার ভোর হলে চলে যায়।আমাদের এলাকায় বাঘ আসার কথা নয় এগুলো বাঘের মতো দেখতে হলেও সম্ভবত মিছু বিড়াল হবে।
এলাকাবাসী জানান, এই এলাকায় কোন সময় তেমন বন-জঙ্গল ছিল না তবে টিলা-পাহাড় ছিল।আমাদের এলাকায় মানুষের বসতি ও চারপাশ ঘর-বাড়িতে ঘেরা।এখানে কোনদিন বাঘ বা অন্যান্য হিংস্র প্রানী আসার কথা নয়।কিন্তু আমরা বিগত দুইদিন যাবত চিতাবাঘের মতো প্রানী দেখতে পারছি।
আমরা বাঘ ধারণা করে বেশ আতঙ্কে সময় কাটাচ্ছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিলেট বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা (ওয়াইল্ডলাইফ রেঞ্জার) মো: শহিদুল্লাহ মুঠোফোনে প্রতিবেদককে জানান,গোলাপগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় বন-জঙ্গল কখনো ছিল না।আশপাশেও কোন বন নেই।এসব এলাকায় চিতা বাঘ থাকার কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই।এমনকি কখনো বাঘ আশার ও কোন আশঙ্কা নেই তবে মেছো বিড়াল থাকতে বা প্রবেশ করতে পারে।এরপরেও এরকম কিছুর সন্ধান পেলে আমরা অবশ্যই লোক পাঠাবো এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।এসব নিয়ে এলাকাবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানান।