দোয়ারাবাজার সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার
দোহালিয়া ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত চৌমুনাও গোয়ারাই গ্রামের ৪শত এগারো শতক ভুমি প্রভাবশালীদের নামে বন্দোবস্ত হওয়ায়, সেই ভুমির বন্দোবস্ত বাতিলের জন্য সহকারী কমিশনার ভূমি ও জেলাপ্রশাসক বরাবর আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙলপুর তহশিল অফিসের তহসিলদার মো. মহসীন ভুমি পরিদর্শন ও খাসভুমির বন্দোবস্ত বাতিল করার লক্ষে এলাকাবাসীর প্রতিবাস সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার ৪ ঠা অক্টোবর বেলা ১২ টায় চৌমুনা গ্রামের সামনে ছাতক সুনামগঞ্জ সড়কের পাশে অভিযুক্ত ভুমিতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন,
দোহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শামীমুল ইসলাম শামিম, দোহালিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী আনোয়ার মিয়া আনু, আওয়ামীলীগ নেতা সফিকুল ইসলাম বাবুল, আইনুদ্দিন, মো. ফয়েজ মিয়া, ইছবর আলী, আব্দুল ছাব্বির, নুরুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম, গিয়াস উদ্দিন, সফিকুর রহমান তালুকদার, হাজী সালাউদ্দিন, আরব আলী,আমির আলী, বুরহান, আলতাব আলী, পরিতোষ নাথ সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ- প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, প্রভাবশালী চৌমুনা গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের পুত্র আব্দুল মছব্বির, একই গ্রামের মৃত রজিব উল্লাহর পুত্র তজিজুর রহমান গংদের ১৯৮৮-৮৯ সালের বন্দোবস্ত কৃত নিম্ন তপশীল ভুক্ত ভূমি দোয়ারাবাজার, জে.এল.নং-১৮৪ হালে ১৬৬, খতিয়ান নং-১১৯, ১১৮, ১১২, ১১৩, ১১০, ১১১,১২০,১২১,১২২, ১২৩, ১১৭, ১১৫, ১২৭ সহ অন্যান্য, হালে ৪১,২২৫,৩৩৪, ১০৭,১০২ দাগ নং-৩৮০ হালে ৭৪৬,753,752,754,৭৫০,৭৫৬ এরিয়া ০৪.১১ (চার একর এগারো শতক) আমন ও আউষ রকম মাত্র ভূমিকে বন্দোবস্ত বাতিল করে
মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, নদী ভাঙ্গা পরিবার, বিধবা বা স্বামী পরিত্যক্তা পরিবার, কৃষি জমি ও বাস্তুভিটাহীন পরিবার, জমিঅধিগ্রহণের ফলে ভুমিহীন হয়েছে এমন পরিবার ও বসতবাড়ি ও কৃষি জমি নাই কিন্তু পরিবারটি কৃষি নির্ভর এ শ্রেণির ব্যাক্তিবর্গই ভুমিহীন বন্দোবস্তোযোগ্য গরীর অসহায়দের মধ্যে উক্ত ভূমি নতুন করে বন্দোবস্ত দেওয়ার জন্য দাবি করা হয়।
এব্যাপারে জানতে চাইলে মঙলপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তফসিলদার মো. মহসীন বলেন, ১৯৮৯ সালে বন্দোবস্ত নেওয়া হলেও এপর্যন্ত জমিতে কারু দখল নেই। সরকার জমি বন্দোবস্ত দেয় আবাদ করার জন্য সেই জমি অনাবাদি থাকার জন্য নয়। এখন উর্ধতন কতৃপক্ষের সিদ্ধান্ত কি নেয় তা আমার জানা নেই।