জালাল উদ্দিন লস্কর, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের মাধবপুরে যেদিকে চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। মাঠে আমন ধানের সবুজ ফসলের সমারোহ। মাঠের পর মাঠ সবুজ ফসলে ছেয়ে আছে। এ বছর বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষকরা। কৃষাণ-কৃষাণীর মুখে হাসি ফুটবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগও। নবান্নের উৎসবে মেতে উঠবে প্রতিটা কৃষকের বাড়ি এমনটাই প্রত্যাশা তাদের।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছর আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ হাজার ৫শ হেক্টর জমি। চাষ হয়েছে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে। লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ৫শ হেক্টর বেশি জমিতে আমনের চাষাবাদ হয়েছে।ইতোমধ্যে আগাম জাতের আমন ধান ব্রি ধান-৭৫, ব্রি ধান-৮৭, ব্রি ধান -৯০, ব্রি ধান-৯৫সহ বেশ কয়েকটি আগাম জাতের আমন ধান চাষ হয়েছে। এছাড়াও বিনা ধান ১৭, বিনা ধান ২২, গুটি স্বর্ণা, ব্রি-৩৪, ব্রি-৪৯, হাইব্রিড সহ স্থানীয় জাতের ধানের চাষ করেছে কৃষকরা। কৃষি অফিসার আল মামুন হাসান জানান, ধানের সবচেয়ে ক্ষতিকর রোগবালাই হচ্ছে মাজরা পোকা ও বাদামী ফড়িং, বিএলবি এবং গোড়াপচা রোগ। তবে এ রোগ ও পোকার আক্রমণ এবার কম হওয়ায় বেশ ভালো ফলনের আশাবাদ প্রকাশ করেছেস তিনি।তিনি জানান প্রথমদিকে বৃষ্টিপাত না হলেও পরবর্তীতে মাঝে মাঝে বৃষ্টি হওয়ায় জমিতে পর্যাপ্ত পানি আছে। উপজেলার ১ হাজার ১ শ কৃষককে কৃষি প্রণোদনার আওতায় ৫ কেজি করে আমন ধান বীজ দেওয়া হয়েছে। এবং মাথাপিছু ১০ কেজি এমওপি, ১০ কেজি ডিএপি সার প্রদান করা হয়েছে।
আন্দিউড়ার কৃষক নারায়ন দাশ, ছাতিয়ানের আশরাফুল, নোয়াপাড়ার মুজাহিদুল ইসলাম ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নের অনেক কৃষকের সাথে সরেজমিনে কথা বলা জানা যায় যে এবার আমনে রোগবালাই তেমন প্রকট নয়।যতোটুকু আছে সেটা নিয়ম মেনে প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে দমন যোগ্য। এছাড়া রোগ বালাই দমনে উপজেলার কৃষি অফিসের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও সহযোগিতা সব সময় তারা পাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন তারা।
উপজেলা কৃষি অফিসার, মোঃ আল মামুন হাসান জানান যে, সাম্প্রতিক মাঠ ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি ও ফসলের রোগ বালাই দমনে মাঠ পর্যায়ের উপ সহকারী কৃষি কমকর্তাগন সহ সংস্লিষ্ট সবাই যথেষ্ট তৎপর রয়েছেন জানিয়ে কৃষি অফিসার কৃষিক্ষেত্রে বৈপ্লবিক উন্নতির পেছনে সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন।