মাধবপুর (হবিগঞ্জ) সংবাদদাতা::
হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌরসভার অন্তর্গত কাটিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বছরের পর বছর ধরে রাস্তার উপর মাছের আড়ৎ গড়ে উঠায় শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে।এখানে গড়ে উঠা পাইকারী আড়তগুলোয় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকার মাছ ব্যবসায়ীরা এসে পার্শ্ববর্তী নাসিরনগর ও লাখাই উপজেলার হাওরাঞ্চল থেকে আসা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ সস্তায় কিনে নিয়ে যান।ভৈরব,সিলেট এবং ঢাকাতেও এ আড়তগুলো থেকে মাছের চালান পাঠানো হয়।
এ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে মাছের আড়ৎটি অপসারনের জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসলেও মাছের আড়তটি সরানো হয়নি।
প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাছের দূর্গন্ধে এলাকায় বসবাস ও স্কুলের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করা খুবই কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে। মাছের আড়তের পচা গন্ধের কারণে স্কুলের ছোট ছোট শিশুরা বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে।এছাড়া বিদ্যালয়ের সামনে মাছের আড়ৎ গড়ে উঠায় বাজারের লোকজন বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে প্রস্রাব-পায়খানা করে পরিবেশ দূষিত করছে।
কাটিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও মেসার্স সাহা ব্রাদার্স এর স্বত্বাধিকারী পংকজ কুমার সাহা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের সামনে রাস্তার উপর মাছের আড়ত থাকায় ছেলে মেয়েরা প্রতিদিন দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। এতে শিক্ষক সহ ছাত্র-ছাত্রীরা অস্বস্থিকর পরিবেশের মধ্যে রয়েছে। এ আড়তটি বিদ্যালয়ের সামনে থেকে সরিয়ে অন্য কোনো জায়গায় দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবী করে এলেও এ ব্যাপারে কেউ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। যে কারণে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ছাত্র-ছাত্রীরা বাধ্য হয়ে লেখাপড়া করছে।
মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ এএইচএম ইশতিয়াক মামুন জানান, ‘ একটি শিক্ষা প্রতিষ্টানের পাশে এমন মাছের আড়ত থাকাটা নজিরবিহীন। এ নিয়ে বহুবার কথা বলেছি।আড়তের দূর্গন্ধে শিশুদের ফুসফুসের সংক্রমন সহ নানা রোগের ঝুঁকি রয়েছে।’
মাধবপুর পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক জানান, ‘বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে মাছের আড়ৎটি এখান থেকে সরিয়ে অন্য কোথাও নেওয়া যায় কি না এ বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করছি।’
এ ব্যাপারে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহ্সান জানান, ‘এ বিষয়ে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’