Saturday, November 23, 2024
Homeঅন্যান্যকৃষিড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

 

ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ,

 

দেহে সঠিক পরিমাণ পুষ্টি নিশ্চিত করতে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় নানা ধরনের ফল ও শাক-সবজি রাখা দরকার। এ রকম একটি ফল হলো ড্রাগন। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এই ফলটি সাদা ও লাল মাংসযুক্ত নানা জাতের হয়। ড্রাগন ফলের রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ।

তবে ফলের ধরন এবং পরিপক্বতার ওপর পুষ্টির মান পরিবর্তিত হতে পারে।

আনুমানিক ১০০ গ্রাম (৩.৫ আউন্স) ড্রাগন ফলে যে পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে তা নিচে দেওয়া হলো :

 

সাদা মাংসযুক্ত ড্রাগন ফল : প্রতি ১০০ গ্রাম সাদা ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রায় ৬০ গ্রাম ক্যালরি, ৯-১৪ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৮-১২ গ্রাম চিনি, ১-২ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার, ১-২ গ্রাম প্রোটিন, ১ গ্রামের কম চর্বি।

 

লাল মাংসযুক্ত ড্রাগন ফল : প্রতি ১০০ গ্রাম লাল ড্রাগন ফলে রয়েছে ৫০-৬০ গ্রাম ক্যালরি, ৯-১৪ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১-২ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার, ৮-১২ গ্রাম চিনি, ১-২ গ্রাম প্রোটিন, ১ গ্রামের কম চর্বি।

 

ভিটামিন ও খনিজ,

 

ভিটামিন ‘সি’, ভিটামিন বি১ (থায়ামিন), ভিটামিন বি২ (রিবোফ্লাভিন) এবং আয়রনসহ বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজগুলোর একটি ভালো উৎস ড্রাগন ফল।

 

 

এতে ভিটামিন বি৩ (নিয়াসিন), ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো অল্প পরিমাণে অন্যান্য ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে।

 

অ্যান্টি অক্সিডেন্ট,

ড্রাগন ফলের মধ্যে রয়েছে বেটালাইনের মতো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা এর প্রাণবন্ত রঙে অবদান রাখে। এই অ্যান্টি অক্সিডেন্টগুলো ফ্রি র‌্যাডিক্যাল নামের ক্ষতিকারক পদার্থ দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতি থেকে কোষকে রক্ষা করে।

 

ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস,

 

ড্রাগন ফলের মধ্যে বিভিন্ন ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, যেমন—ফ্ল্যাভোনয়েড এবং পলিফেনল থাকায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরির বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

 

এই যৌগগুলো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতায় অবদান রাখতে পারে।

হাইড্রেশন এবং ইলেকট্রোলাইটস

 

ফলটিতে পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো ইলেকট্রোলাইট থাকায় তরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং পেশির সঠিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে ভূমিকা পালন করে।

 

কম ক্যালরি,

ড্রাগন ফলে তুলনামূলকভাবে ক্যালরি কম থাকে। যারা কম ক্যালরি গ্রহণ করতে চায় তাদের জন্য এটি একটি উপযুক্ত হতে পারে।

 

সম্ভাব্য প্রিবায়োটিক সুবিধা

 

ড্রাগন ফলে থাকা ফাইবার একটি প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করতে পারে, যা অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে।

 

ফলে ভালো হজম হতে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে এবং মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।

উপকারিতা,

হাইড্রেশন : ড্রাগন ফলে থাকা উচ্চ পরিমাণে পানি হাইড্রেশনে সাহায্য করে।

 

পাচক স্বাস্থ্য : ড্রাগন ফলে থাকা ফাইবার খাবার হজম করতে সাহায্য করে।

 

ইমিউন সাপোর্ট : এই ফলে থাকা ভিটামিন ‘সি’ ইমিউন-বুস্টিং করে, তথা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।

 

হার্টের স্বাস্থ্য : এতে থাকা ফাইবার বা আঁশ এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট দেহের কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রেখে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

 

রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ : আঁশ এবং তুলনামূলকভাবে কম চিনির উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করতে পারে।

 

কিভাবে খাবেন,

ড্রাগন ফল সরাসরি কেটে খাওয়া যেতে পারে, আবার বিভিন্ন খাবারের সঙ্গেও যোগ করা যেতে পারে।

 

সতর্কতা,

যদিও ড্রাগন ফল বেশির ভাগ লোকের জন্য নিরাপদ, তথাপিও অনেকে হালকা হজমের অস্বস্তি অনুভব করতে পারে। আর তাই যেকোনো খাবারের মতোই পরিমিত খাওয়াই ভালো।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments