ক্যাম্পাস প্রতিনিধি,
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) র্যাগিংয়ের দায়ে ২৫ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শিক্ষার্থী দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৭তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের দায়ে প্রক্টরিয়াল বডি তদন্ত ও পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে র্যাগ দেওয়া শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শাস্তি প্রদানের জন্য সুপারিশ প্রদান করে। সিন্ডিকেট সভায় এ সুপারিশ গ্রহণ করা হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, প্রক্টরিয়াল বডির তদন্ত ও পর্যবেক্ষণে অর্থনীতি বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ফাহিম মুন্তাসির নামে এক শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। একই শিক্ষাবর্ষের জুনাইদ মোস্তাফিজ অয়নকে চার সেমিস্টার ও প্রীতম সাহাকে দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া শরিফুজ্জামান খাঁন আতিফ, সাবিত আবরার তাজিম, অনিক আহমেদ, সুয়েল রানা, মো. যুবায়ের হোসেন তালুকদার জিম, মো. নাঈম মিয়া, বিকাশ চন্দ্র ধর, মিঞা মোহাম্মদ সাইয়্যেদুল বাশার রিফাত ও রাজন সাহা সনিকে দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়া পরিসংখ্যান বিভাগের দুটি পৃথক ঘটনায় একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে। ২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বর প্রধান ফটকসংলগ্ন বাসায় র্যাগিংয়ের ঘটনায় সাখাওয়াত হোসেন ও মো. সাগর হোসেনকে দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া শিবরাজ ত্রিপুরা, জুবায়ের আব্দুল্লাহ, রিয়াদুস সালেহীন রিয়ান, তন্ময় কর্মকার সাগর, ইয়াজ উদ্দিন পাটওয়ারী ও নাফিস ইমতিয়াজ রোহানকে হল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়। তারা আবাসিকতা না পেয়ে থাকলে ভবিষ্যতে হলে সিট পাবে না। তাদের প্রক্টরিয়াল বডির সামনে উপস্থিত হয়ে ভবিষ্যতে র্যাগিং না করার অঙ্গীকারনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একই বিভাগের আরেক ঘটনায় ২৭ নভেম্বর দ্বিতীয় বর্ষের পাঁচ ছাত্রী প্রথম বর্ষের ১৫ ছাত্রীকে শহিদ মিনারে ডেকে র্যাগিং করে। এ ঘটনায় কাজী তাসমিয়া হক অরিশাকে চার সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া ফারজানা মেহেরুন নূহা, তাসমিয়াহ আলম মাইশা, লামিয়া ইসমাইল জুঁই ও শ্রাবণী দে প্রিয়াকে হল থেকে আজীবন বহিষ্কার এবং প্রক্টর বডির সামনে উপস্থিত হয়ে ভবিষ্যতে র্যাগিং না করার অঙ্গীকারনামা জমা দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেসুর রহমানকে কল দিলে তিনি তা রিসিভ করেননি।