নিজস্ব প্রতিবেদক,
দেশে এখনও স্নাতক ডিগ্রিধারীদের ৩ জনের একজন বেকার। সবচেয়ে বেশি বেকার ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে বেকার আছে ৬ লাখ ৮৭ হাজার জন। পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপে উঠে এসেছে এ চিত্র। এতে বলা হয়, দেশে এক বছরের ব্যবধানে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে এক লাখ ৬০ হাজার।
শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণকারী মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে দেশে, বেড়েছে বেকারের সংখ্যা। যোগ্যতা অনুসারে চাকরি পাচ্ছে না মানুষ। বিশেষ করে শিক্ষিত তরুণদের ক্ষেত্রে বেকারত্বের চিত্র ভয়াবহ। ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী যুব বেকারদের মধ্যে প্রায় ২৯ শতাংশ স্নাতক। পরিসংখ্যান ব্যুরোর শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৪-এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে এক বছরের ব্যবধানে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে এক লাখ ৬০ হাজার। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বেকারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ লাখ ২০ হাজারে, যা ২০২৩ সালে ছিল ২৪ লাখ ৬০ হাজার। অন্য যে কোনো বিভাগের তুলনায় চাকরির খোঁজে ঢাকাতেই বাস করেন বেশিরভাগ বেকার। বেশিরভাগই আবার উচ্চশিক্ষিত।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, শ্রমবাজারে নিরক্ষর শ্রমিকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৩০ লাখে। এই নিরক্ষর কর্মশক্তি দেশের অর্থনীতির উৎপাদনশীলতায় তৈরি করছে বড় সীমাবদ্ধতা। বিশেষ করে শিল্প ও সেবা খাতে দক্ষতা ঘাটতির কারণে অনেকে কাজ পেলেও উচিত মূল্য পাচ্ছেন না।
কর্মসংস্থানের কাঠামোতেও বড় বৈষম্য ধরা পড়েছে। দেশে কাজে নিয়োজিতদের ৮৪ শতাংশই অনানুষ্ঠানিক খাতে। গ্রামে এ হার ৮৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ, শহরে ৭৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। অর্থাৎ বিপুল শ্রমশক্তি এখনো সুরক্ষাহীন, সামাজিক নিরাপত্তা ও ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত।