ধর্ম ও জীবন,
বিয়ে ইসলামে শুধুমাত্র সামাজিক সম্পর্ক নয়, বরং একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে, সে যেন দেরি না করে বিয়ে করে নেয়। কেননা বিয়ে চোখকে নিচু রাখে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। আর যার সামর্থ্য নেই, সে যেন রোজা রাখে। (বোখারি : ৫০৬৫, মুসলিম : ১৪০০)
তবে বিয়ে করার ক্ষেত্রে পাত্র-পাত্রীর মতামত ও সম্মতি অত্যন্ত জরুরি। ইসলামে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, কোনো নারীকে তার মতামত ছাড়া জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়া বৈধ নয়। নবীজি (সা.) বলেছেন, কুমারী বা তালাকপ্রাপ্ত নারীর মতামত ছাড়া তাকে বিয়ে দেওয়া যাবে না। কুমারীর নীরবতা তার অনুমতির প্রকাশ হিসেবে গণ্য হবে। (বোখারি : ৫১৩৬)
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ছেলে বা মেয়ের সম্মতি ছাড়া জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ ইসলাম দেয়নি। সন্তানের মতামত অবশ্যই নেওয়া জরুরি। তবে সন্তানের অধিকার থাকলেও, বাবা-মায়ের সঙ্গে অসম্মান করা যাবে না।
সুতরাং, সন্তানকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়া ইসলামে জায়েজ নয়। যদি কোনো নারী বা পুরুষকে জোরপূর্বক বিয়ে করা হয়, তারা চাইলে সেই বিয়ের আকদ বাতিল করার অধিকার রাখেন। ইসলামে নারীর ইচ্ছা ও অধিকারকে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, যা এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। ইসলামি স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ছেলে বা মেয়ের সম্মতি ছাড়া জোরপূর্বক তাদের বিয়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ ইসলাম দেয়নি। অবশ্যই তাদের মতামত নিতে হবে।