রকিবুল ইসলাম রকি ::
মৌলভীবাজার শহরে প্রধান প্রধান সড়কে অটোরিকশা চলাচল বন্ধে জেলা পুলিশের ঘোষণা মাঠে বাস্তবায়ন হলেও ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়নি। ফলে আবারও প্রকাশ্যে ট্রাফিক পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে দাপটের সঙ্গেই চলাচল করছে এসব অটোরিকশা।
গত ২১ আগস্ট মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে জানানো হয়, শহরের প্রধান সড়কগুলোতে আর অটোরিকশা চলাচল করতে পারবে না। এগুলো শুধুমাত্র ফিডার রোড ও শহরের অভ্যন্তরীণ সড়ক দিয়ে সীমিত আকারে চলাচল করবে। যানজট ও শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ঘোষণার ধারাবাহিকতায় গতকাল ১ সেপ্টেম্বর মাঠে নামে ট্রাফিক পুলিশ। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে অভিযান চালিয়ে প্রধান সড়কে অটোরিকশা চলাচল বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয় তারা। বেশ কিছু অটোরিকশা আটক করে চালকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এতে সাধারণ মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেলেও, চালক-শ্রমিকদের মধ্যে দেখা দেয় উদ্বেগ-অসন্তোষ।
তবে আজ ২ সেপ্টেম্বর সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শহরের কোথাও অটোরিকশা বন্ধে ট্রাফিক পুলিশের কোনো অভিযান নেই। বরং প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে প্রকাশ্যে শহরের চৌমুহনা, কোর্ট রোড, শমসেরনগর রোডসহ প্রধান প্রধান সড়কে নির্বিঘ্নে চলাচল করছে অটোরিকশা। এতে যানজট আবারও বাড়তে শুরু করেছে এবং নীতিমালার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মহল।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শুধু অভিযানের প্রথম দিন দেখানোর জন্য কিছুটা কড়াকড়ি করা হলেও পরবর্তীতে তদারকি না থাকায় আবারও বেপরোয়াভাবে অটোরিকশা চলছে। এতে পুলিশের ঘোষণার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা কমছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।
অন্যদিকে অটোরিকশা চালক-শ্রমিকরা বলছেন, প্রধান সড়ক বন্ধ করে দিলে তাদের জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে। বিকল্প ব্যবস্থা ছাড়া হঠাৎ করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত দিলে তারা বেকার হয়ে পড়বেন।
সচেতন মহলের দাবি , নীতিমালা বাস্তবায়নে প্রশাসনের ধারাবাহিক মনিটরিং ও বিকল্প পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা না গেলে এ ধরনের উদ্যোগ কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ থাকবে।
এ বিষয় মৌলভীবাজার ট্রাফিক বিভাগের টি আই কামরুল ইসলাম বলেন, অটোরিকশা বন্ধে আমাদের এ অভিযান অবহ্যাত রয়েছে। এটি শহরবাসী যতদিন চাইবে ততদিন চলমান থাকবে। অটোরিকশা বন্ধে ট্রাফিক পুলিশের অভিযান একদিনেই সীমাবদ্ধ থাকবে নাকি প্রতিনিয়ত চলমান থাকবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, গতদিন ও আমাদের অভিযান ছিলো, আজকেও দিয়েছি। এখন থেকে প্রায়ই এটি শহরের বুকে চলমান থাকবে।