কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের উখিয়াং থানা এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করে ভারতীয় মহিষ নিয়ে আসার সময় ভারতের বিএসএফ এর গুলিতে নিহত আব্দুর রহমানের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সেদেশের পুলিশ নিয়ে গেছে। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর কানাইঘাটের লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বড়চাতল গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের পুত্র আব্দুর রহমানের লাশ ভারতীয় পুলিশ ফেরত দিবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া আক্তার।
তিনি বলেন, যেহেতু আব্দুর রহমানের লাশ সীমান্তের ওপারে পড়েছিল, সেহেতু ভারতীয় পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভারতীয় পুলিশ আব্দুর রহমানের লাশ ফেরত দেয়ার জন্য বাংলাদেশ বর্ডারগার্ড বিজিবিকে জানাবে। পরে দু’দেশের পুলিশ বৈঠকের মাধ্যমে আব্দুর রহমানের লাশ ফেরত আনা হবে। এরমধ্যে যতটুকু সময় যায়, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে বলে নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া আক্তার জানান। জানা গেছে, ময়না তদন্তের পর আব্দুর রহমানের লাশ ভারতের একটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সীমান্তের ১৩৩৯নং পিলারের ভারতের অভ্যন্তরে গত শনিবার গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আব্দুর রহমানের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ঘটনাটি আটগ্রাম বিজিবি ক্যাম্পকে জানান। এরপর আব্দুর রহমানের লাশ ফিরিয়ে আনার জন্য ভারতের বিএসএফ ও বিজিবি’র মধ্যে তিন দফা পতাকা বৈঠক হলেও লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ।
জানা যায়, গত শুক্রবার জুমআর নামাজ পড়ে কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী বড়চাতল গ্রামের আব্দুর রহমান সহ তার সাথে থাকা সীমান্ত এলাকার ৫/৬ জন অবৈধ ভাবে ভারতের মেঘালয়ে রাজ্যে অনুপ্রবেশ করে সেখান থেকে সন্ধার দিকে কয়েকটি মহিষ নিয়ে বাংলাদেশে ফেরার পথে ভারতের বিএসএফ তাদের উপর গুলি করে। এ সময় আব্দুর রহমানের সাথে থাকা অন্যরা আহত অবস্থায় ফিরে আসলেও আব্দুর রহমান গুলিবিদ্ধ হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে নিহত হয়।