স্বাস্থ্যসেবা প্রতিদিন,
আমাদের অনেকের মধ্যেই সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করার আগেই নাস্তা করার প্রবণতা রয়েছে। কেউ কেউ তো ঘুম থেকে উঠে চোখ মুছতে মুছতে চায়ের কাপে চুমুক দিতে পছন্দ করেন। আসলে সকালে ব্রাশ করার আগে পানি, নাস্তা কিংবা চা পান করা কতটা স্বাস্থ্যকর, কি বলছে মেডিকেল সায়েন্স?
চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মতে, ব্রাশ করার আগে কোনো খাবার গ্রহণ করা স্বাস্থ্যকর নয়। কারণ আগের রাতে আমরা অনেকেই খাবার খাওয়ার পর ব্রাশ না করেই ঘুমাতে যাই। তাই সকালে দাঁত পরিষ্কার না করেই যদি কেউ খাবার গ্রহণ করে, তবে মুখে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঘটতে পারে। দাঁতের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির কারণ হতে পারে এটি। পরিবর্তে টক, মিষ্টি ও ফলমূল খাবারগুলো দাঁতের এনামেল ক্ষয় করার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে।
তবে, এক্ষেত্রে পানি পান করা ব্যতিক্রম। ঘুম থেকে ওঠার পর মুখের লালার সঙ্গে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয়। ব্রাশ করার আগে নাস্তা কিংবা চা পান করা ক্ষতিকর হলেও পানি পান করার রয়েছে বিশেষ উপকারিতা। এটি আমাদের পাকস্থলীর জন্য ভালো। এছাড়া এটি শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। খালি পেটে পানি পান করলে শরীর থেকে সব টক্সিক বের হয়ে যায়। ফলে স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া যায়। খালি পেটে পানি পান করলে ক্ষুধার অনুভূতি কম হয়, উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং এই অভ্যাসের ফলে মুখের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া জমতে বাধা দেয়। এই পানি মুখে কিছুটা ঘুরিয়ে ধুলে দাঁতের উপর জমে থাকা বর্জ্য দূর হয়ে যায় এবং মৌখিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়।
আমেরিকান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশনের মতে, দিনে দুইবার অন্তত ব্রাশ করা উচিত। কিন্তু কখন ব্রাশ করবেন, তা তারা নির্দিষ্ট করে বলেনি। তবে নিয়মিত ব্রাশ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে অনেকে প্রতিদিন একই সময়ে ব্রাশ করেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে খাবার খেয়ে। ঘুম থেকে উঠেই দাঁত মাজলে দাঁত ভালো থাকে। আবার সকালে উঠেই ব্রাশ করলে মুখে লালা উৎপাদন শুরু হয়। লালা খাবার ভাঙতে সাহায্য করে। পাশাপাশি মুখের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে।
তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সকালে ঘুম থেকে উঠে পানি পান করলেও ব্রাশ করার পর নাস্তা বা চা পান করা উচিত।