স্পোর্টস ডেস্ক,
পাকিস্তান সিরিজ শেষ। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হতে পারে এশিয়া কাপ। মাঝে প্রায় দেড় মাস আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ নেই বাংলাদেশের। আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) অনুসারে ভারতের সঙ্গে একটি সিরিজ আয়োজনের কথা থাকলেও সেটা পিছিয়ে গেছে ১৩ মাস। ফলে ম্যাচ না খেলেই আসন্ন এশিয়া কাপের প্রস্তুতি নিতে হতে পারে ক্রিকেটারদের।
বড় টুর্নামেন্টের আগে ক্রিকেটারদের ম্যাচের মধ্যে থাকা খুব জরুরি। সেই গুরুত্ব বিবেচনা করেই এশিয়া কাপের আগে বোর্ডের কাছে একটি সিরিজ চেয়েছেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাস। পাকিস্তান সিরিজ শেষে তিনি বলছিলেন, এই সিরিজের পর আমাদের কোনো খেলা নেই। কিছুদিন বিরতির পর আবার আমরা ফিটনেসের ওপর মনোযোগ দেব। আমাদের সামনে যা সুযোগ আসবে, যদি আমরা ক্যাম্প করি বা কোনো সিরিজ যদি হয়, সেটিকে আবার ম্যাচে রূপান্তর করার চেষ্টা করব।
বিষয়টি নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে বিসিবি। সিলেটের কাগজ কে বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, বিসিবি আরো আগে থেকেই আগস্টে একটি সিরিজ আয়োজনের বিষয়ে ভাবছে। কথাবার্তা ঠিকঠাক এগোলে আগস্টের শেষদিকে ওই সিরিজ মাঠে গড়াতে পারে। এক্ষেত্রে বিসিবির হাতে সব চূড়ান্ত করতে খুব বেশি সময় এবং ভালো অপশন কোনোটিই নেই। আগস্টের উইন্ডোতে জিম্বাবুয়ে-শ্রীলঙ্কার সিরিজ আছে। ভারত যথারীতি আসছে না।
বাকি দলগুলোও নানা সিরিজে ব্যস্ত থাকবে। বাস্তবতা বিবেচনায় বিসিবির কাছে সম্ভাব্য দল হিসেবে থাকছে আফগানিস্তান এবং আয়ারল্যান্ড। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের পরে একটি সিরিজ খেলার পরিকল্পনা আছে বিসিবির। ফলে আগস্টে সম্ভাব্য অপশন হিসেবে থাকছে শুধু আয়ারল্যান্ড। সূত্রের দাবি, আইরিশদের সঙ্গে সম্ভাব্য সিরিজ নিয়ে এরই মধ্যে আলোচনা শুরু করেছে বিসিবি।
এছাড়া এশিয়া কাপের আগে নেদারল্যান্ডস বা নেপালের সাথেও সিরিজ আয়োজনের জন্য বিসিবি চেষ্টা করবে বলে জানা গেছে। অবশ্য সবকিছু এখনও আলোচনার পর্যায়েই আছে। সময় স্বল্পতার কারণে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব না হলে আলোর মুখ না-ও দেখতে পারে কোনো সিরিজ।
সেক্ষেত্রে লম্বা সময়ের জন্য ক্রিকেটাররা একটি স্কিল এবং ফিটনেস ক্যাম্পও করতে পারে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে বিসিবির একাধিক পরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছে ঢাকা পোস্ট। সবমিলিয়ে বলা যায়, একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজনের চেষ্টা করছে বিসিবি। শেষ পর্যন্ত তাতে সফল না হলে ক্রিকেটারদের নিয়ে ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে।