দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ):
সুনামগঞ্জ -৫( ছাতক-দোয়ারা) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ মাও আব্দুস সালাম আল মাদানী বলেছেন জামায়াতে ইসলামীর দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে ছাতক-দোয়ারার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করব। তিনি বলেন, দেশের মানুষ আর কোন দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ ও খুনিদের ক্ষমতায় আনতে চায়না । জনগণ তাদের অতীতের ভুল ও ব্যর্থতা ভুলে যায়নি। এখন তারা সত্যিকারের পরিবর্তন ও ন্যায় বিচার চায়। এখন মানুষ ইসলামি দলগুলোকে ক্ষমতায় আনতে চায়। মানুষ এখন সচেতন। মানুষ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দিকে তাকিয়ে আছেন। তাই আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত দাঁড়িপাল্লা প্রতীককে ভোট দিয়ে মানুষ তাদের নেতা নির্বাচিত করবে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) দিনব্যাপী ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নে গণসংযোগ শেষে দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের নাছিমপুর বাজারে পথসভা পরবর্তী বক্তব্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি পদপ্রার্থী আব্দুস সালাম মাদানী এসব মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, বিগত ১৭ বছর মানুষের ভোটের অধিকার হনন করে ক্ষমতায় থেকেও মানুষের প্রাপ্য অধিকার ফিরিয়ে দেয়নি। মানুষের মৌলিক উন্নয়ন করেনি। উন্নয়নের নামে মানুষের সম্পদ লুটেপুটে খেয়েছেন। সেই স্বৈরাচার
দেশ হতে বিতাড়িত হয়েছে কিন্তু নব্য আরেক স্বৈরাচার আমাদের সামনে আত্মপ্রকাশ হতে যাচ্ছে। তারা অতিথে বারবার ক্ষমতায় এসে তাদের ইশতেহার বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে। এখন তারা বলছে, সরকার গঠন করে সংস্কার করবে। কিন্তু কে তাদের এ ক্ষমতায় যাওয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছে? জনগণ তাদের অতীতের ব্যর্থতা ভুলে যায়নি। এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি—বাংলাদেশের মানুষ আর দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, খুনিদের ক্ষমতায় আনবে না।
সালাম মাদানী বলেন, মানুষ জীবন দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে—চাঁদাবাজি, খুন, লুটপাট, দখলদারিত্বের জন্য নয়। এ দেশের মানুষ স্বাধীনতা চেয়েছে শান্তির জন্য, মুক্তির জন্য, ন্যায়ের জন্য। আমার বাংলাদেশে কেউ খোলা আকাশের নিচে ঘুমাবে না, কেউ অভুক্ত থাকবে না—এ ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। আর সে চেতনায় বিশ্বাস রেখেই আমরা চাই একটি স্বচ্ছ, ন্যায়ভিত্তিক, অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক কাঠামো গড়ে উঠুক।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম কোরআন ও সুন্নাহর আইন বাস্তবায়নের জন্য ছিল। আমরা ভারতের গোলামিতে ভোগিনি। কিন্তু আমাদের সংগ্রামে বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতা লাভ করে, তখন আমাদের জাতির মর্যাদা ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের মানুষ নিজেই আইন প্রণয়ন করবে, সংসদ পরিচালনা করবে। আমরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াবো।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ—রিকশাওয়ালা, ঠেলাওয়ালা, কুলি-মজুর—এতটাই সচেতন যে তাদের কথা শুনলে আমরা অবাক হয়ে যাই। আজ এ জাতি জেগে উঠেছে, আর তারা জানে কী চায়।
সালাম মাদানী বলেন,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে ছাতক-দোয়ারার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করব। আমাদের সাথে দেখা করতে সিরিয়াল দরতে হবেনা। আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নিতে অব্যস্থ। আমাদের কাছে উন্নয়নের জন্য সহযোগিতা চাইতে হবেনা। আমরা এলাকায় এলাকায় হেটে হেটে উন্নয়নের জন্য কাজ করব। প্রয়োজনীয় উন্নয়ন বাস্তবায়ন করব।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন
সিলেট কোতোয়ালি থানা জামায়াতের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, জালালাবাদ থানা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ওবায়দুল হক শাহিন,ছাতক উপজেলা জামায়াতের অফিস সম্পাদক মাও সালাউদ্দিন,
ছাতক উপজেলা জামায়াত নেতা মো: আব্দুল হাই আজাদ, নাজমুল হক,ইলিয়াস হোসাইন, সাবেক ছাত্রনেতা আলিমুর রহমান, অ্যাড: আলম উদ্দিন,
নরসিংপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর আলহাজ্ব আতাউর রহমান, ছাতক উপজেলা জামায়াত নেতা ডাঃ চমক আলী, দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম,কোম্পামিগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন’র সেক্রেটারি আল আমিন,ইসলামি যুবমজলিস ছাতক উপজেলার সেক্রেটারি হাফেজ মাও আনোয়ার হোসেন।
ছাতক উপজেলা জামায়াত নেতা হাজ্বী কলমদর আলী’র সভাপতিত্বে ও সাবেক ছাত্রনেতা হোসাইন আহমদ ও আব্দুল আলিম এর সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন নরসিংপুর ইউনিয়নের ৩ নং জামায়াতের সভাপতি আলী হোসেন, নরসিংপুর ইউনিয়ন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন’র সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম,সাবেক ইউপি সদস্য আশিকুর রহমান, মাও সুলতান মাহমুদ,
মাও আফতাব উদ্দিন,
হাফেজ নজরুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা মাও উমর ফারুক, ছাত্রনেতা আফফান বীন সিরাজ,
জাফর ইকবাল মুন্না প্রমুখ।