সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি,
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের এক কনস্টেবল (২৮) গ্রেপ্তার হয়েছেন। সোমবার রাতে এক তরুণী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলাটি করেন।
গ্রেপ্তার আইনুল হক (২৮) ধর্মপাশা থানায় কর্মরত। তার বাড়ি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ইসলামপুর দুভাগ গ্রামে। ভুক্তভোগী তরুণী নেত্রকোনার একটি কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে তরুণীর সঙ্গে কনস্টেবল আইনুল হকের পরিচয় হয়। এরপর দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মুঠোফোনে যোগাযোগের পাশাপাশি তারা দেখা করতেন। গত ২৬ জুন তরুণী ধর্মপাশা উপজেলার মহদীপুর স্পিডবোট ঘাটে যান। সেখান থেকে তাকে সুনামগঞ্জ শহরের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যান আইনুল। হোটেলে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে ভুয়া তথ্য দিয়ে কক্ষ ভাড়া নেন। পরদিন দুপুর পর্যন্ত বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন আইনুল। ২৮ জুন পরীক্ষা শেষে তরুণী বিয়ের কথা বললে আইনুল যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। ২৯ জুন রাতে তরুণী ধর্মপাশা থানায় গিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ঘটনাটি জানান।
এসব অভিযোগের বিষয়ে মঙ্গলবার ধর্মপাশা থানায় আইনুল হক বলেন, ‘আমার ভুল হয়েছে। আমি তাকে বিয়ে করতে রাজি। আমার প্রথম স্ত্রীও এতে সম্মতি দিয়েছেন।’
ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই অভিযুক্ত কনস্টেবলকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। আজ তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সকালে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।