নিজস্ব প্রতিবেদক,
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে পলাতক হেলপার লিটন মিয়াকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সোমবার রাত পৌনে ১২টায় সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জালালপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৯-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) কে এম শহিদুল ইসলাম।
গ্রেপ্তার লিটন মিয়া সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রশিদপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া বাসচালক সাব্বির মিয়ার সহকারী।
জানা যায়, গত রোববার রাতে নবীগঞ্জ-শেরপুর আঞ্চলিক সড়কে চালক ও তার সহকারীর বিরুদ্ধে চলন্ত বাসের যাত্রী ওই কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী পরদিন সোমবার সকালে নবীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলায় বাসচালক সাব্বির মিয়াকে আসামি করা হয়। সাব্বির নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতাবাদ বাংলাবাজার এলাকার বাসিন্দা।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকার একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়েন ওই কিশোরী। রোববার দুপুরে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে বাসে করে তিনি গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। তার শায়েস্তাগঞ্জে নামার কথা থাকলেও বাসে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। পরে তিনি শেরপুর এলাকায় নেমে একটি লোকাল বাসে ওঠেন, যা ‘মা এন্টারপ্রাইজ’ নামে পরিচিত। বাসটি রাত ১০টার দিকে আউশকান্দি এলাকায় পৌঁছালে অন্য যাত্রীরা নেমে যান।
এ সময় বাসচালক সাব্বির ও তার সহকারী লিটন চলন্ত বাসে ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে ছাত্রীর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এনাতাবাদ এলাকায় বাসটি থামান। চালক সাব্বিরকে স্থানীয় লোকজন আটক করে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় পুলিশে সোপর্দ করেন। তবে সে সময় লিটন পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে র্যাব-৯-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) কে এম শহিদুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯-এর সিলেট সদর কোম্পানি ও শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প যৌথ অভিযান চালিয়ে লিটনকে গ্রেপ্তার করে। তাকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়াও ধর্ষণের বিরুদ্ধে র্যাব-৯ এর চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।