Sunday, June 8, 2025
Homeসিলেট বিভাগমৌলভীবাজারমৌলভীবাজারে স্কুলের ভবন নির্মাণ : দেড় বছরেও শেষ হয়নি ৬ মাসের কাজ

মৌলভীবাজারে স্কুলের ভবন নির্মাণ : দেড় বছরেও শেষ হয়নি ৬ মাসের কাজ

 

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

মৌলভীবাজার শহরের গোবিন্দশ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজের ধীরগতিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থী। ছয় মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও দেড় বছরেও শেষ হয়নি নির্মাণকাজ। বিদ্যালয়টির শতবর্ষী পুরাতন ভবন ভেঙে নতুন একতলা একাডেমিক ভবন নির্মাণে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে কাজ পায় ‘জুবায়ের কনস্ট্রাকশন’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ছয় মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো পুরো কাজ শেষ হয়নি।

 

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, একই সময় শহরের শিশু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের কাজ শুরু হলেও বর্তমানে সেটির তৃতীয় তলার নির্মাণ প্রায় সম্পন্ন। কিন্তু গোবিন্দশ্রী বিদ্যালয়ের কাজে গাফিলতির কারণে এখনও কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি দেখা যায়নি। ভবন নির্মাণ শেষ না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্যবহার করা হচ্ছে বিদ্যালয় থেকে কিছুদূরে ভাড়া নেওয়া একটি তিনতলা অস্থায়ী ভবন। সেটি এখন রীতিমতো মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।

 

সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের ঝুঁকিপূর্ণভাবে বাঁশের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয় ওপরে। ছাদ ছাড়া অনেক কক্ষে নেই দেয়াল, বৃষ্টির দিনে ভিজেই ক্লাস করতে হয় শিক্ষার্থীদের। ফলে অনেক অভিভাবকই সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে অনাগ্রহী হয়ে পড়েছেন।

 

অভিভাবক জামিলা বেগম বলেন, অস্থায়ী ভবনের তৃতীয় তলায় শিশুদের ওঠানামা করানো খুব কষ্টদায়ক। বৃষ্টির দিনে বই-খাতা ভিজে যায়। আমরা চাই স্কুলের নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করে শিশুদের নিরাপদ পরিবেশে পাঠদান নিশ্চিত করা হোক। আরেক অভিভাবক আবিদা বেগম বলেন, অনেকদিন ধরে কাজ চলছে কিন্তু শেষ হচ্ছে না। অস্থায়ী ভবনে পাঠদান ঝুঁকিপূর্ণ ও কষ্টকর। আমরা দ্রুত বিদ্যালয়টি উদ্বোধনের দাবি জানাচ্ছি।

 

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জুবায়ের কনস্ট্রাকশনের সত্ত্বাধিকারী জুবায়ের আহমদ বলেন, আর্থিক সমস্যা এবং বিভিন্ন অসুবিধার কারণে কাজ চলমান রাখতে সমস্যা হয়েছে। তবে এখন টানা কাজ চলছে। কোরবানির ঈদের আগেই কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।

 

মৌলভীবাজার সদর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন বলেন, কিছু ডিজাইন সংশোধনের কারণে এক সময় কাজ বন্ধ ছিল। এছাড়া রমজানে শ্রমিক সংকট ছিল। তবে ঈদের পর থেকে পুরোদমে কাজ চলছে। আশা করছি, আগামী এক মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments