স্পোর্টস ডেস্ক,
৮ বছর পেরিয়ে গেছে। এরমাঝে পৃথিবী দেখে ফেলেছে অনেককিছুই। কোভিড মহামারি, এআই এর উত্থান, দুটো বিশ্বকাপ– সবই পার হয়েছে। তবে মেহেদি হাসান মিরাজের ভাগ্যটারই যেন বদল হলো না। ২০১৭ সালের পর আরও একবার বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ডাক পেয়েও খেলা হলো না তার।
দেশের ক্রিকেটে ২০১৭ থেকে ২০২৫ সালের এই বড় ব্যবধানে মিরাজ হয়ে উঠেছেন বড় এক নাম। সেইসঙ্গে তার ওপরে নির্ভরতাও বেড়েছে অনেকখানি। সবশেষ বিপিএলে হয়েছেন সিরিজসেরা খেলোয়াড়। কদিন আগে আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটারও হয়েছেন। সংকটের দিনে কার্যকরী বিকল্প হিসেবে পাকিস্তান সুপার লিগের দল পিএসএল তাই দলে টেনেছিল তাকে।
তবে টিম কম্বিনেশনের কারণে তিন ম্যাচের একবারও খেলা হয়নি তার। আজ পিএসএল ফাইনালে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে ম্যাচেও তাকে একাদশে রাখেনি লাহোর কালান্দার্স। এদিন অবশ্য লাহোর স্কোয়াডের তিন বাংলাদেশি তারকার মাঝে কেবল রিশাদ হোসেনই একাদশে সুযোগ পেয়েছেন। গত দুই ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতার পর সাকিব আল হাসানকেও আজ দেখা যায়নি একাদশে।
তবে এতকিছুর ভিড়ে আক্ষেপ থেকে যায় মিরাজকে নিয়েই। ২০১৭ সালে ডাক পেয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) –এর মঞ্চে। অস্ট্রেলিয়ান ব্র্যাড হজের পরিবর্তে ১৯ বছরের মিরাজকে দলে নিয়েছিল ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। তবে, সেবারে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েও কোনো ম্যাচ খেলা হয়নি তার।
মিরাজ তখন একেবারেই নতুন। কেবল ইংল্যান্ডের সঙ্গে অভিষেক টেস্ট সিরিজ দিয়ে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন বিশ্ব ক্রিকেটে। সেই বিবেচনাতেই ডাক এসেছিল সিপিএলের দল থেকে। সে সময় বিপিএলে রাজশাহী কিংসের হয়েও বেশ ভালোই সময় পার করেছিলেন মিরাজ। অভিজ্ঞতা ছিল ডিপিএলের। কিন্তু বড় মঞ্চে খেলার অভিজ্ঞতা খুব একটা না থাক্যয় টিকেআরের হয়ে মাঠে নামতে পারেননি সেই সময়ের তরুণ মিরাজ।
এবার অনেকগুলো বছর পর ফের ডাক এসেছে বিদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে। পাকিস্তানের ফ্র্যাঞ্চাইজি লাহোর কালান্দার্স স্কোয়াডে বিকল্প হিসেবে যোগ করেছিল তাকে। কিন্তু ক্যারিবিয়ান দ্বীপের পর পাকিস্তানেও খুব একটা সুখকর অভিজ্ঞতা হলো না মিরাজের। ৮ বছর অপেক্ষা করেও বিদেশি লিগে অভিষেক হলো না বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের।
পিএসএল খেলতে চারদিনের ছাড়পত্র পেলেন মিরাজ,
এক দফায় ৮ বছর অপেক্ষার পর মিরাজকে এবারে কতদিনের জন্য ফের অপেক্ষায় নামতে হয়, সেটাই দেখার বিষয়।