Sunday, June 15, 2025
Homeলিড সংবাদঝুলে আছে নোয়াগাঁও খালের ও দোহালীয়া বিয়ানীবাজার এবং খাসিয়ামারা নদীর সেতু

ঝুলে আছে নোয়াগাঁও খালের ও দোহালীয়া বিয়ানীবাজার এবং খাসিয়ামারা নদীর সেতু

 

 

দোয়ারাবাজার সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

ঝুলে আছে দোয়ারাবাজার উপজেলার আলীপুর খাসিয়ামারা নদীর সেতু। এখনো বাকি আছে দুই গার্ডার, আর ২৫ মিটার ছাদ । এ কারণে দীর্ঘ ৫০ বছরের গ্লানি রশি টেনেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হতে হচ্ছে এখানকার বাসিন্দাদের । আর কত বছর ঝুলে থাকলে টনক নড়বে ঠিকাদার আর সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের? এমন প্রশ্ন এখন জনমনে। তিন বছর অব্দি শেষ হলেও খাসিয়ামারা নদীর সেতুর নির্মাণ কাজের কোন তদারকি নেই স্থানীয় এলজিইডি অফিস কর্তৃপক্ষের। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এ দিকে সেতুর কাজ শেষ না হওয়ায় প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে রশি টেনে খেয়া পারাপার হতে হচ্ছে শিক্ষার্থী, নারী-শিশুসহ সাধারণ লোকজনদের। সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আলীপুরে এই সেতুটির অবস্থান। জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মাধ্যমে ৫০০ মিটার চেইনেজে ৭৫ মিটার পিসি গার্ডারের খাসিয়ামারা সেতুর নির্মাণ বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৪ কোটি ২৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। ২০২২ সালে উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আলীপুর-টেংরাটিলা খেয়াঘাটে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ আছে। এসব দেখার কেউ নেই। ঠিকাদারের অবহেলা এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের যথাযথ তদারকির অভাব আছে। না হয় সেতুর কাজ এতোদিন ধরে বন্ধ থাকে কিভাবে গত শুকনো মৌসুমে পুরোদমে কাজ চললে এক বছরেই সেতুর কাজ শেষ হয়ে যেত।’

একই গ্রামের মৎস্যচাষি দিন ইসলাম, জাকির হোসেন, রফিক মিয়া ও ব্যবসায়ী মুন্তাজ মিয়া বলেন, ‘সেতুর নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় মাছের খাদ্যসহ কৃষিপণ্য ও অন্য মালামাল পরিবহণ করতে আমাদের বাড়তি টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। এতে আমাদের লোকসান হচ্ছে।’

আলীপুর গ্রামের মৎস্যচাষী আব্দুর রহিম বলেন, ‘প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পারাপারের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। স্রোত বাড়লে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। সেতুটির নির্মাণকাজ দ্রম্নত শেষ করা উচিত।’

জনতে চাইলে ঠিকাদার শংকর কুমার দেব দায়সারা বক্তব্য দিয়ে বলেন, ‘ মেস্ত্রী সমস্যা এবং মালামাল পরিবহনের সমস্যার কারণে কাজ শেষ করা যায়নি। শিঘ্রই কাজ সমাপ্ত করা হবে।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বলেন, ‘খাসিয়ামারা সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। দু’ চার দিনের মধ্যে কাজ শুরু করবে ঠিকাদার জানিয়েছেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments