সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং আমির মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছো ছাড়ছে না সমালোচনা। গত ১৯ ও ২১ মে পরীক্ষা শেষে শিক্ষক কর্তৃক উত্তরপত্রের ওএমআর শিট পূরণের পৃথক ভিডিও ও ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। পাশাপাশি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর উত্তরপত্র দেরিতে পৌঁছে দেওয়ারও অভিযোগ উঠে আমির মিয়া ও তাঁর অধীন হাজী সোহরাব আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্রপ্রধানের বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শুরু হয়েছিলো সমালোচনার ঝড়। পরে প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান, একই স্কুলের সহকারী শিক্ষক শরীফ উদ্দিন, একই উপজেলার ড. ইদ্রিছ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোখলেছুর রহমান ও হাজী সোহরাব আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন। তাদের প্রত্যেককে ২০২৪, ২০২৫ ও ২০২৬ সাল পর্যন্ত সব পাবলিক পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখতে বলা হয়েছে।
এছাড়া প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামানকে আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের এবং অন্য তিন শিক্ষককে আগস্ট মাসের বেতন-ভাতা কর্তনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এরপর নতুন আরেকটি ঘটনার জন্ম দিয়েছে জাফলং আমির মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের পরিচালনা কমিটি। তারা ঐতিহ্যের স্মারকখ্যাত বিদ্যালয়ের মাঠ রক্ষাকারী (প্রাকৃতিকগার্ডার ওয়াল) রেইনট্রি গাছটি কর্তনের সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। এ নিয়ে ফের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শুরু হয়েছে নিন্দার ঝড়।
প্রতিবাদকারীরা গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান এবং সহকারী কমিশনার ভূমি তানভির হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। গাছ কর্তন কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেছেন স্থানীয়রা। অন্যতায় সময়ের ব্যবধানে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে জাফলং আমির মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং খেলার মাঠ।