গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি:
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় এক তরুনী(১৯) কে বিয়ের প্রলোভনে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে,উপজেলার তোয়াকুল ইউনিয়নের পূর্ব পেকেরখাল গ্রামে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ( ৬ মার্চ) ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ঘটনার সাথে জড়িত উপজেলার তোয়াকুল ইউনিয়নের পশ্চিম পেকেরখাল গ্রামের ফারুক আহমদের ছেলে হাছান আহমদ (২০) ও সহযোগী হিসেবে একই গ্রামের মৃত মাহমুদ আলীর ছেলের রিয়াজ উদ্দিন (৪০),মৃত আব্দুস সালামের ছেলে শিব্বির আহমেদ (৩০),শফিকুর রহমানের ছেলে রমিজ উদ্দিন(২৫),আকবর আলীর স্ত্রী রহিমা বেগম(২৫), আসামি করে গোয়াইনঘাট থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-০৭/৬২৯ ০৬/৩৬৩২৫।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত বুধবার এশার পর অভিযুক্ত হাছান আহমদ বিয়ের কথা বলে বাড়ি থেকে গোপাটে ডেকে নেয়। তারপর কৌশলে উপরে উল্লেখিত আসামিরা মিলে নিজাইল বিলের পাশে নিয়ে হাসান আহমদ ও ঐ তরুণীকে রেখে তারা চলে আসে। সেখানে হাসান আহমেদ তরুণীকে বুঝিয়ে বিয়ের কথা বলে ফুসলাইয়া ধর্ষণ করে। পরে আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে গুরুকচী গ্রামের ফয়জুর রহমানের বাড়ির বারান্দায় ফেলে আসে।
এদিকে তরুণীর বাড়ির লোকজন সারারাত বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিয়ে না পেয়ে ভোর সকাল ছয়টায় লোক মারফত জানতে পারেন গুরুকচি গ্রামের ফয়জুর রহমান বাড়িতে রয়েছে। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন মেয়ের জবানবন্দি অনুসারে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পরিবারের লোকজন জানান,তরুণীর পরিবারের লোকজন আমাদের নিকট আত্মীয় এবং একই বংশের। তাদের সাথে আমাদের জায়গা সংক্রান্ত এবং অন্যান্য বিষয়ের তিনটি মামলা চলছে। সেইসব মামলা কে নস্যাৎ করতে তারা (তরুণীর পরিবার) মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আমাদেরকে হয়রানি করতে মিথ্যা মামলার নাটক সাজিয়েছে। যে ছেলের উপর ধর্ষনের অভিযোগ দেওয়া হয়েছে সেই ছেলেটা একেবারে সহজ-সরল মানুষের কাজ করে এবং মানুষ যে যত টাকা দেয় তাই নেয়। তারা আরো বলেন,গ্রামের অন্যরা যারা এই বিষয়ে কোন কিছু জানে না তাদেরকেও এই মামলায় জোড়ানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ওয়ার্ড মেম্বার মাসুক আহমদ বলেন,অভিযুক্তের পরিবারের লোকজন আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে,আমি সরেজমিন গিয়েছি। তবে বিষয়টি আমার কাছে ধুম্র জালের মত লাগছে।সত্য বলতে পারছি না মিথ্যাও বলতে পারছিনা। প্রকৃত বিষয়টি আইনের লোকজন তদন্তের মাধ্যমে ভালো বলতে পারবেন।
মামলার তদন্তকারী পুলিশ, সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই দিদারুল আলম বলেন,বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ ব্যাপার, মামলার তদন্ত চলছে,সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে কর্তৃপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।