দোয়ারাবাজার( সুনামগঞ্জ )প্রতিনিধিঃ আবু সালেহ মোঃ আলা উদ্দিন ।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বর্ষা শেষ হওয়ার পর থেকে সুরমার ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নদীর তীর-বর্তী গ্রাম গুলোতে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি বিলীন হওয়ার দৃশ্য প্রতিদিন বাড়ছে।দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম মাছিমপুর গ্রামের শতাধিক পরিবার নদী ভাঙনের কবলে তাদের ভিটে-মাটি সর্বস্থ হারিয়ে মানবতর জীবন যাপন করছে।এখানকার মানুষের শতশত ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি নদীর গর্ভে বিলীন হওয়ার কারণে অনেকেই ভূমিহীন হয়ে পড়েছেন।
উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের শরীফপুর এলাকার কবর স্থান, দোকান পাট ও বোগলা-দোয়ারাবাজার সড়কের শরীফপুর অংশ ভাঙনের চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
ইতিমধ্যে ভুজনা গ্রামের ঘরবাড়ি সহ ফসলি জমি নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়াও এক মাত্র যোগাযোগ মাধ্যম ভুজনা দোয়ারাবাজার সড়কটি ও চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ইতোমধ্যে ওই এলাকার নদী পাড়ের বেশ কিছু সড়কের অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তাই আগে থেকে সরকারি উদ্যোগে ভাঙন কবলিত এলাকায় জিওব্যাগ ফেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এসব এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংষ্কা করছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে ভুজনা ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে দেখা গেছে, সুরমা নদীর তীর বর্তী ফসলি মাঠে মরিচ, টমেটো, বেগুন, বাদাম, আলু, সহ শতশত বিঘা ফসলি জমি নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে।
সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম (নেয়ামত) বলেন, প্রতিবছর ভুজনা এলাকার ঘরবাড়ি ও শতশত বিঘা ফসলি জমি নদীর গর্ভে বিলীন হচ্ছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সরকারের কোন উদ্যোগ নেই।
মাছিমপুর গ্রামের ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান (মিজু) বলেন, সুরমা নদীর ভাঙনের কারণে এই এলাকার মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে এখন মানবতার জীবন কাটাচ্ছেন।
শরীফপুর গ্রামের শাহীন বলেন, প্রতি বছর সুরমা নদীর পানি তলদেশে গেলেই ভাঙন দেখা দেয়। শরীফপুর কবর স্থানের অধিকাংশ কবর ভেঙে গেছে। সেই সাথে সাইডিং ঘাটে আমার দোকান ঘর গুলো হুমকির মুখে রয়েছে।এই এলাকায় জিওব্যাগ না ফেললে বোগলা-দোয়ারাবাজার সড়কটিও নদীর গর্ভে বিলীন হতে পার। ভুজনা গ্রামের সালিশ ব্যাক্তিত্ব হানিফ মিয়া বলেন, ভুজনা গ্রামের অনেক বাড়িঘর ইতিমধ্যে বিলীন হয়েছে।এখন শতশত বিঘা ফসলি জমির ফসল সহ ভেঙে যাচ্ছে। সরকার কোন উদ্যোগ না নিলে একমাত্র সড়কটি সহ বিস্তীর্ণ ফসলি মাঠ মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে পারে।
সুনামগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, ইতিমধ্যে দোয়ারাবাজার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ চলিতেছে। পরবর্তীতে ঐসব এলাকাতে ও নদীর তীর সংরক্ষণের আওতায় নেওয়া হতে পারে।