বিনোদন প্রতিবেদক :
বাংলাদেশী ভোজনরসিকদের কাছে ইদানিং চুঁইঝালের হাঁসের মাংসের বেশ কদর। চুঁইঝাল মশলা হিসেবে মাংসের সাথে রান্না করা হয়, যা খেতে খুবই সুস্বাদু। এই খাবার অনেক স্বাস্থ্য গুণাগুণ সম্পন্ন। শীতে অতিথি আপ্যায়নে কিংবা অনুষ্ঠানে চুঁইঝালের হাঁসের মাংসের জুড়ি নেই। আর এর সঙ্গে যদি যোগ হয় রসুন, তাহলে তো কথাই নেই। চুঁইঝাল ও রসুন দিয়ে হাঁসের মাংসের রেসিপি দিয়েছেন সংগীতশিল্পী ও গীতিকবি মৌসুমী শীমা। তো, আসুন রেসিপিটি জেনে নেওয়া যাক।
উপকরণ :
হাঁসের মাংস একটি, চুঁইঝাল ১০০ গ্রাম, নারিকেলের দুধ ৩ কাপ, পেঁয়াজ বাটা ৩ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, জিরা বাটা ১টেবিল চামচ, ধনিয়া গুঁড়া ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১/২ টেবিল চামচ (স্বাদ মত), গোলমরিচের গুঁড়া এক চিমটি, সরিষার তেল ৩/৪ কাপ, হলুদের গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, আলু ৩/৪টি, তেজপাতা + দারচিনি + এলাচ ২টি করে, ভাজা জিরার গুঁড়া ১/৪ চা চামচ,
ভাজা গরম মশলার গুঁড়া ১/৪ চা চামচ, নারিকেল বাটা ১ টেবিল চামচ, আস্ত রসুন ৮/১০ টি।
রান্নার প্রণালি :
হাঁসের পশম ভালোভাবে পরিষ্কার করে মাংস ধুয়ে পানি ঝড়িয়ে রাখতে হবে। তেল গরম করে এর মধ্যে প্রতিটি আলু চার টুকরা করে কেটে নিয়ে এক চিমটি লবন ও হলুদ দিয়ে ভেজে একটি পাত্রে তুলে রাখতে হবে। এবার ওই তেলের মধ্যে ভাজা জিরা এবং ভাজা গরম মসলার গুঁড়া বাদে একে একে করে সব বাটা ও গুঁড়া মশলা এবং গরম মশলা দিয়ে অল্প অল্প পানি মিশিয়ে ভুনা করতে হবে। মশলা দিয়ে যখন সুন্দর একটা ভাজা ভাজা ঘ্রাণ বের হবে তখন এর মধ্যে হাঁসের মাংস দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নারিকেলের দুধ দিয়ে দিতে হবে।
মাংস যখন আধা সেদ্ধ হবে তখন এরমধ্যে আলু আর চুঁইঝাল এবং আস্ত রসুন দিয়ে দিতে হবে। যখন দেখবেন ঝোলের পানি টেনে গেছে কিন্তু মাংস সেদ্ধ হয়নি তাহলে একটু গরম পানি দিতে হবে। সবশেষে লবণ চেখে নিয়ে মাংসের উপরে ভাজা জিরার গুঁড়া ও ভাঁজা গরম মসলার গুঁড়া ছড়িয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে। চুঁইঝাল ও রসুনের হাঁসের মাংস রুটি – পরোটা, চালের রুটি, কিংবা ভাত বা পোলাও বা খিচুড়ির সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করতে পারেন।