বিনোদন প্রতিবেদক :
ঢাকার চলচ্চিত্রের লেডি সুপারস্টার খ্যাত জনপ্রিয় মডেল – অভিনেত্রী শবনম বুবলী। সুপারস্টার শাকিব খানের পর্দাজুটি হিসেবে নায়িকা হয়ে তার সঙ্গে প্রেম ও পরিণয়। শাকিব – বুবলী’র সন্তানও এসেছে পৃথিবীতে। তবে সন্তান নিয়ে প্রকাশ্যে আসার পর দুজনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। কিন্তু ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, প্রেমিক – স্বামী তথা নিজের সন্তান বীরের বাবা শাকিব খান এবং তার পরিবারের সঙ্গে বুবলী’র সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা এখনও বিদ্যমান।
ধারণা করা হয় – মূলত এই কারণেই শাকিব খানের ডিভোর্সী স্ত্রী অপু বিশ্বাসের সঙ্গে বুবলী’র দ্বন্দ্ব চলমান। তাদের দ্বন্দ্বের কথা বিভিন্ন সময়ে তাদের কথাবার্তায় প্রকাশ পেয়েছে। দু’জনই পরস্পরকে নিয়ে নানা ধরনের ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলেন গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে। বিশেষ করে এক্ষেত্রে অপু বিশ্বাসই বেশি কথা বলেন এবং এই কারণে প্রচুর সমালোচনারও শিকার হন সাবেক এই জনপ্রিয় নায়িকা।
এই তো মাত্রই কয়েক দিন আগে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে অপু বিশ্বাস আপত্তিকর কথা বলেন – আমার সন্তান আব্রাম খান জয় না থাকলে যে প্রসঙ্গটা সৃষ্টি হয়, তাদের আমার যোগ্য বলেই মনে করতাম না। এই ইন্ডাস্ট্রিতে আমার ১৭ বছর চলছে। তাই তাকে আমার যোগ্য বলেই মনে করতাম না। তার এই আপত্তিকর বক্তব্যের পর সমালোচনা হয়েছে যে, কাকে তিনি যোগ্য মনে করছেন না। তবে এটা নেটিজেনরাও বুঝে নিয়েছেন।বুবলী’র নাম উল্লেখ না করে এবারও ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলেছেন অপু – সেটা নিয়ে বুবলী’র পক্ষ থেকে কোনো প্রতিউত্তর পাওয়া যায়নি এত দিন। তবে বুবলী’র সাম্প্রতিক একটি পোস্টে ‘জবাব’ নিয়ে কিছু একটার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
২৬ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় তিনটি ছবি পোস্ট করে বুবলী লেখেন – ইন দ্য ফেস অব ননসেন্স, সাইলেন্স ইজ দ্য বেস্ট রিপ্লাই। এর অর্থ হলো – অবাস্তবতার সামনে নীরবতাই সেরা জবাব। এতে বুবলী বুঝিয়ে দিলেন যে, আপাতত কথা নিয়ে যুদ্ধে জড়াতে চাইছেন না তিনি।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল গোপনে বিয়ে করেন শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল এই দম্পতির বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ২০১৮ সালের ১২ মার্চ বিবাহবিচ্ছেদের মাধ্যমে দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন তারা। এরপর ২০১৮ সালের ২০ জুলাই বুবলীকে গোপনে বিয়ে করেন শাকিব খান। এরপর শাকিবের এই সংসারও ভেঙে যায়।