সিলেট প্রতিনিধি
তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মারামারি হয়েছে। সেই মারামারির ঘটনা সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণে এনেছে। কিন্তু এক পক্ষ আবার সংগঠিত হয়ে লাঠিসোঁটা, দা, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ১০ কিলোমিটার পথ হেঁটে চলে এসেছে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা করতে।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় সিলেটের সীমান্তবর্তী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বর্ণি গ্রামের শত শত লোক এমন রণ প্রস্তুতি নিয়ে কাঁঠালবাড়ি গ্রামের দিকে রওয়ানা হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। স্থানীয়রা এজন্য সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে মোবাইল চার্জ দেওয়াকে কেন্দ্র করে বর্ণি গ্রামের এক যুবককে কাঁঠালবাড়ি গ্রামের ২০-২৫ জন মিলে মারধর করে। এ ঘটনার জেরে উপজেলা সদর, বর্ণি ও কাঁঠালবাড়ি গ্রামের লোকজনের মধ্যে রাত ৯টা পর্যন্ত চার ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। এতে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। এসময় বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, যানবাহন ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রাতে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও এই ঘটনার জের ধরে রোববার সকালে বর্ণি গ্রামের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রণপ্রস্তুতি নিয়ে কাঁঠালবাড়ি গ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে তারা সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ সড়কের হাইটেক পার্ক সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে সেখানে তাদের থামানো হয়। সশস্ত্র ওই লোকজনকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর, বর্ণি জামেয়া মাদরাসার বর্তমান ও সাবেক মুহতামিম।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সিলেট পুলিশ লাইন্স থেকে অতিরিক্ত ফোর্স ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে।
সিলেটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, সংঘাত এড়াতে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ, সালুটিকর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ও পুলিশ লাইন্স থেকে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে। এরই মধ্যে হামলার প্রস্তুতি নিয়ে আসা বর্ণি গ্রামের লোকজনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমরা আশাবাদী পরিস্থিতি খুব দ্রুত শান্ত হবে।