লাইফস্টাইল প্রতিবেদক :
মরিঙ্গা বা সজনেপাতার গুণাগুণ শুনে অনেকেই আগ্রহী হয়ে অনলাইনে কিনে থাকেন! কারণ ইদানিং বাজার থেকে কেনা টাটকা পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে বিক্রি করছেন অনেকেই। এদের কেউ কেউ আবার সজনে পাতাকে বড়ির আকারেও তা বিক্রি করেন। সজনেপাতায় রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই। ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম এবং আয়রনের মতো প্রয়োজনীয় বেশ কিছু উপাদান রয়েছে এতে।
এসব উপাদান শরীরবৃত্তীয় নানা কাজে লাগে। এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ এই ভেষজ অক্সিডেটিভ স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, উপকার পেতে হলে গুঁড়ো বা ট্যাবলেট নয়, সজনেপাতা খেতে হবে কাঁচা। খেলে আর কী কী উপকার হবে – এসব নিয়েই এই প্রতিবেদন।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্যকারী :
সজনেপাতায় ফাইবারের পরিমাণ বেশি। এই উপাদানটি দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। আবার পাকস্থলীর বিপাকহার বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। এটা হুট করেই শরীরের ওজন বাড়তে দেয় না।
শরীরের হাড় শক্ত করতে ভূমিকা রাখে :
বিভিন্ন গবেষণা থেকে পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, এই ভেষজে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ দুগ্ধজাত খাবারে চেয়ে প্রায় ৯ গুণ বেশি থাকে। তাই হাড় এবং দাঁত মজবুত রাখতে কাঁচা সজনেপাতা খাওয়াই যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে :
সজনেপাতায় যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। টাটকা সবুজ পাতা চিবিয়ে খেতে পারলে ঋতু বদলের সময়কার সর্দিকাশি আক্রমণ করতে পারে না। আর এটা খেলে ক্ষতিকর ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করাও সহজ হয়।
হার্ট ভালো রাখতে কার্যকরী :
সজনেপাতায় পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি। সজনেপাতায় থাকা এই খনিজটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এটি শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক এবং হার্টের পেশি সচল রাখতেও সাহায্য করে।
রক্তের শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে :
যারা দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তারা নিয়ম করে রোজ সজনেপাতা চিবিয়ে খান। এর ফলে ধীরে ধীরে রক্তে বাড়তি শর্করার পরিমাণ কমিয়ে স্বাভাবিক মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।