সিলেট প্রতিনিধি,
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সব অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দিয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত ক্লাসে যোগদান করেননি শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সেকৃবি উপাচার্য শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হককে প্রক্টরের অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়াসহ সব দাবি মেনে নেয়। এতে শিক্ষার্থীরা তাদের চলমান আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গতকালই অধ্যাপক ড. জসিম উদ্দিন আহমেদকে নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে অফিস আদেশ জারি করে। এরপরও আজ শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যোগদান করেননি।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০টায় ছাত্র পরামর্শক শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল, নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রক্টরকে নিয়ে আলোচনা বসেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা নতুন করে কিছু দাবি সামনে আনেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো:
১) রি ক্যারির ভিত্তিতে ইয়ার ড্রপ সিস্টেম বাতিল, কমপক্ষে দুইজন শিক্ষক দিয়ে উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ক্যারি পরীক্ষায় মিডটার্মের অন্তর্ভুক্তি, অ্যানোনিমাস মার্কিং, কিন্তু প্রতি ইয়ার বা লেভেলে ২০ শতাংশর বেশি ক্রেডিট লস হলে ইয়ার লস থাকবেই।
২) ক্যাম্পাসের যেকোনো মহলে যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রণয়ন।
৩) এ আন্দোলনে জড়িত কোনো শিক্ষার্থীকে অ্যাকাডেমিকালি বা ক্যাম্পাসের বাইরে হেনস্তা করা যাবে না।
সভায় প্রক্টর ও ছাত্র পরামর্শক তাদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলেও শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল কোনো সুস্পষ্ট পদক্ষেপ, লিখিত স্টেটমেন্ট বা এসব বিষয় বাস্তবায়নের রূপরেখা আগামী ৩ দিনের মধ্যে না দিলে ক্লাস পরীক্ষায় ফিরবে না বলে জানান।