মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি :
শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ন (৪৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমা বাজার সংলগ্ন পুকুরে “কুরমা বাজার পূজামন্ডপ” এবং “শসির দাসের বাড়ী” পূজামন্ডপসহ এলাকার অন্যান্য পূজা মন্ডপের প্রতীমা বিসর্জন পরিদর্শন করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, সেক্টর সদর দপ্তর, শ্রীমঙ্গলের কর্নেল এ এইচ এম ইয়াসীন চৌধুরী, পিএইচডি, সেক্টর কমান্ডার, লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সিকদার, বিএসপি, পিএসসি, জি, অধিনায়ক, শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ন (৪৬ বিজিবি) সহ অন্যান্য বিজিবি সদস্যগণ। এসময় সেক্টর কমান্ডার, পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি, সদস্য ও অন্যান্য গন্যমান্য হিন্দু ধর্মাবলম্বীগণের সাথে কুশলাদি বিনিময় করেন এবং পূজা উদযাপনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যাতে নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে পূজা উৎসব পালন করতে পারে সে জন্য গত ৫ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ হতে শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ন (৪৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় ১৪টি বিওপিতে অতিরিক্ত ০৮ প্লাটুন জনবল মোতায়েন করে সীমান্তের ০৮ কিঃ মিঃ এর মধ্যে সকল পূজামন্ডপে বিজিবি কর্তৃক প্রতিনিয়ত দিবারাত্রি টহল পরিচালনা করে এবং পূজামন্ডপ সমূহের সভাপতি ও সহ-সভাপতিদের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। ফলে কোন ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা ব্যতিরেকে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপন সম্পন্ন হয়েছে এবং ১৩ অক্টোবর পূজা উদযাপন শেষে শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ন (৪৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ (কুলাউড়া, কমলগঞ্জ এবং শ্রীমঙ্গল) সীমান্ত এলাকায় সকল পূজামন্ডপের প্রতীমা বিসর্জন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, “এ বৎসর শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে বিগত বৎসরের তুলনায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যগণের উপস্থিতি এবং তৎপরতা অনেক বেশি ছিল বিধায় অধিক নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে স্বতস্ফুর্তভাবে এবং নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন করা সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি’র টহল দল সার্বক্ষণিক নজরদারী করেছে। তাই বিজিবি’র প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই”। উক্ত সময় বিজিবি টহলসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।