মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি :
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং অপহরণ মামলার প্রধান আসামি জুয়েল আহমদ (২০) কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। প্রধান আসামি জুয়েল পার্শ্ববর্তী বড়লেখা উপজেলার উত্তর ডিমাই গ্রামের মোঃ হানিফ মিয়ার ছেলে। এ সময় ১৫ বছরের ভিকটিম কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ আগস্ট) জুড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ আগস্ট উপজেলার এক কিশোরীকে অপহরণ করেন বড়লেখা উপজেলার উত্তর ডিমাই গ্রামের মোঃ হানিফ মিয়ার ছেলে জুয়েল আহমদ (২০)। অপহরণে সহায়তা করেন জায়ফরনগর ইউনিয়নের ইউসুফ নগর গ্রামের মৃত জব্বার আলীর ছেলে রুসন মিয়া (৫৫)।
পরে ওই কিশোরীর চাচা বাদী হয়ে জুড়ী থানায় দুই জনকে আসামি করে নারী নির্যাতন ও শিশু নির্যাতন এবং অপহরণে সহায়তা ৭/৩০ ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৯, তারিখ ২৫.০৮.২০২৩।
মামলার পর অভিযান চালিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত রুসন মিয়াকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। এ দিকে ভিকটিমকে উদ্ধার ও প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই খসরুল আলম বাদল ঢাকার সাভারে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে ওই ভিকটিমকে উদ্ধারসহ প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই খসরুল আলম বাদল বলেন, রাজধানী ঢাকায় অভিযান চালিয়ে অপহরণ মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করি এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করি।
জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় জুড়ী থানা পুলিশ অপহরণ মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে ওই আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।