মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি ::
হাওরের ১০০ বছর এবং আমাদের করণীয় শীর্ষক কর্মশালা পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে গ্রামীণ জনকল্যাণ সংসদ, প্রগতি সিলেট এবং হোয়াইট পার্ল নার্সিং কলেজের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত কর্মশালায় জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল হক, জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকতা, বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ছাত্র প্রতিনিধি, হাওর পারের মানুষ, ইমাম, আইনজীবি, পেশাজীবি ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধে মহাপরিচালক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, সারাদেশের মতো মৌলভীবাজারের হাওরগুলোতে পানি প্রবাহ কমেছে, জলজ প্রাণী কমেছে। বছরে প্রায় ১ বিলিয়ন টনেরও অধিক পলি বাংলাদেশের ভূভাগে আসছে এবং জমা হচ্ছে। যা সুন্দর আগামীর জন্য সুখকর নয়।
তিনি বলেন, হাওরের মতো নদীগুলোও ভরাট হয়ে যাচ্ছে। পানির রিজার্ভার কমে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশ একময় মরুভূমি হয়ে যাবে। এজন্য ক্যাপিটাল ড্রেজিং সময়ের দাবি।
তিনি আরও বলেন, হাওর ও জলাভূমিগুলো যদি সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনার আওতায় আসে এবং এখানকার সম্পদকে যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়, তাহলে মৌলভীবাজারের চেহারা পাল্টে যাবে, অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাবে, পর্যটন শিল্পের বিকাশ হবে।
সিলেটের রাতারগুল জলাবনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, রাতারগুলে ১০০ কোটির মতো গাছ রয়েছে। এসব গাছের গোঁড়ায় মাছ আশ্রয় পাচ্ছে। গাছে পাখি আশ্রয় নেয়। রাতারগুলের এই মডেল হাওর ও অন্যান্য জলাভূমির ক্ষেত্রে কাজে লাগানো যেতে পারে। তাতে পরিবেশের উন্নতি হবে।
জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন বলেন, হাওরের উন্নয়নমূলক কর্মশালাগুলো এসি রুমে না করে স্থানীয় পর্যায়ে গিয়ে করা উচিত। যাতে মূল সুবিধাভোগীরা তাদের দাবিগুলো উপস্থাপন এবং যৌক্তিক সমাধান করতে পারে। এরকম করতে পারলে হাওর পারের মানুষ লাভবান হবে। অন্যথায় দেখা যাবে অন্য পক্ষ এখান থেকে সুবিধা নেবে।