বিশেষ প্রতিনিধি,
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক ব্যতীত অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে পদায়ন গ্রহণযোগ্য হবে না বলে বিবৃতি দিয়েছেন ‘শাবিপ্রবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম’।
একইসঙ্গে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষক গ্রেড-১ অধ্যাপক পদে থাকার পরও সূচনালগ্ন থেকে অদ্যাবধি পূর্ণ কর্মকাল দায়িত্ব পালন করা কাউকে ভিসি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এতে করে বরাবরই শাবিপ্রবি শিক্ষকদের দক্ষতা ও সম্মানের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে বলে বিবৃতি উল্লেখ করেন তারা।
সোমবার বিএনপিপন্থী ফোরামটির সহসভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম ও যুগ্ম-সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি তুলে ধরা হয়।
এ বিবৃতিতে শাবিপ্রবিতে উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে বলা হয়, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্যকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক ভিসি হওয়া এবং তাদের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়কে যথাযথভাবে আপন করে নিতে না পারার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম বিভিন্ন সময় মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে।
এমতাবস্থায় শাবিপ্রবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম, সম্মান বৃদ্ধি ও উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে শাবিপ্রবিতে কর্মরত শিক্ষকদের মধ্য থেকে এমন এক ব্যক্তিকে ভিসি হিসেবে নিয়োগ প্রদান করার দাবি জানাচ্ছে যে, তিনি হবেন সৎ, দক্ষ, বৈষম্যবিরোধী ও বিগত ছাত্র-জনতার আন্দোলনের অন্যতম সহযোগী। এমন অধ্যাপক হবেন যার অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে নেই কোনো বিতর্ক। তিনি হবেন দলমত নির্বিশেষে সব শিক্ষক-শিক্ষার্থীবান্ধব।
শাবিপ্রবি সম্পর্কে বিবৃতিতে বলা হয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সিলেট অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের সংগ্রাম ও দাবি-দাওয়ার ফসল। বিশ্ববিদ্যালয়টি শুরু থেকে সিলেট অঞ্চলসহ সারা দেশের উচ্চশিক্ষার বিকাশে অন্যতম ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক পূর্ণ কর্মজীবন শেষে অবসর গ্রহণ করাসহ বর্তমানে ৫০০ এর অধিক সংখ্যক শিক্ষক বিভিন্ন স্তরে কর্মরত আছেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিজয় পরবর্তী সময়ে শাবিপ্রবিসহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাসিবাদের দোসররা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। বর্তমানে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসিসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ প্রদান করে শিক্ষার কার্যক্রম সচল করা হলেও শাবিপ্রবিতে এখনো কোনো নিয়োগ প্রদান করা হয়নি।
এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে শাবিপ্রবির সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা পূর্বক অতিসত্বর ভিসিসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকে নিয়োগ প্রদান করার জন্য আমরা জোরালো দাবি জানাচ্ছি। এক্ষেত্রে শাবিপ্রবি ছাড়া অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কাউকে পদায়ন কোনোভাবে কাম্য ও গ্রহণযোগ্য হবে না।