আয়াতের অর্থ : ‘কিন্তু তাদের মধ্যে যারা জ্ঞানে সুগভীর তারা ও মুমিনরা তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে এবং তোমার আগে যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তাতেও ঈমান আনে এবং যারা নামাজ আদায় করে এবং আল্লাহ ও পরকালে ঈমান রাখে আমি তাদেরকেই মহাপুরস্কার দেব। …তিনি তা অবতীর্ণ করেছেন নিজ জ্ঞানে এবং ফেরেশতারাও সাক্ষ্য দেয়। আর সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট। (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৬২-১৬৬)
আয়াতগুলোতে নবী-রাসুলদের ব্যাপারে মানবজাতিকে সতর্ক করা হয়েছে।
শিক্ষা ও বিধান
১. যে জ্ঞান-বুদ্ধি মানুষকে বিভ্রান্তি থেকে রক্ষা করে সেটাই প্রকৃত জ্ঞান। এমন জ্ঞানের অধিকারীদের জন্য পরকালে বিশেষ পুরস্কার আছে।
২. নুহ (আ.)-কে প্রথম শরিয়ত (ধর্মীয় জীবনবিধান) দেওয়া হয়। তাঁর আগে নবীরা মানবজাতিকে জগৎ-জাগতিকতা শেখাতেন।
৩. যেসব নবী-রাসুলের নাম জানা যায় না তাঁদের প্রতিও সামষ্টিকভাবে ঈমান রাখা আবশ্যক। (বুরহানুল কুরআন : ১/৪২০ ও ৪২১)
৪. আল্লাহ সব যুগে ও সব জাতির কাছে নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন। যেন মানুষ ঈমান ও ইসলামের ব্যাপারে অজুহাত পেশ করতে না পারে। মুহাম্মদ (সা.) কিয়ামত পর্যন্ত আগত সব মানুষের জন্য নবী।
৫. মুহাম্মদ (সা.) সর্বশেষ ও সারা বিশ্বের নবী। এ জন্য আল্লাহ তাঁর দাওয়াত অল্প দিনে সমগ্র মানবজাতির কাছে পৌঁছে দেন। (তাফসিরে তাবারি : ২/৬১০)।