Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the td-cloud-library domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/sylheterkagoj/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫ শতাংশ নারীই অবিবাহিত ও নিঃসন্তান থাকবেন - Sylheter Kagoj : সিলেটের কাগজ |
Friday, April 18, 2025
Homeবিনোদনলাইফস্টাইল২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫ শতাংশ নারীই অবিবাহিত ও নিঃসন্তান থাকবেন

২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫ শতাংশ নারীই অবিবাহিত ও নিঃসন্তান থাকবেন

 

লাইফস্টাইল,

সংসার করার পরিবর্তে ক্যারিয়ারের দিকে বেশি ফোকাস করছেন নারীরা। বেশিরভাগ নারীদের ক্ষেত্রেই বিবাহিত জীবন একমাত্র লক্ষ্য নয়। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা, স্বাধীন জীবনযাপন করা, নিজের স্বপ্ন পূরণ করাই তখন নারীদের প্রাথমিক লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই লক্ষ্য নতুন এই প্রজন্মকে অন্যদিকে টেনে নিয়ে যেতে পারে। এমনকি ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫ শতাংশ নারীই অবিবাহিত থাকবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 

সম্প্রতি, মরগান স্ট্যানলি সমীক্ষায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। সমীক্ষা অনুসারে, ২০৩০ সালের মধ্যে, ২৫ বছর থেকে ৪৪ বছর বয়সী প্রায় ৪৫ শতাংশ নারীই নিঃসন্তান এবং অবিবাহিত হয়ে জীবন কাটাবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। এর আগেও মেয়েরা একা থেকেছেন। কিন্তু সেই সংখ্যা ছিল অনেকাংশে কম।

 

মেয়েরা কেন অবিবাহিত থাকতে চাইছেন,

আগের প্রজন্মের নারীদের ক্ষেত্রে, বিয়ে করা ছিল সাধারণ একটি ব্যাপার। বিয়ের বয়স হলে বিয়ের স্বপ্ন দেখতেন মেয়েরা। শ্বশুরবাড়ি গিয়ে সংসার সামলাতেন। কিন্তু এখন বিষয়টা পুরো উল্টো। মেয়েরা এই মুহূর্তে নিজেদের সমৃদ্ধির দিকেই ঝুঁকছেন। তার কারণ একটাই, অবিবাহিত স্ট্যাটাসটি মেয়েদের জন্য এখন আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।

 

এর প্রবণতা এতটাই বাড়ছে যে অনেক নারীরাই বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার পর, পুনরায় বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ৩০-৪০ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে আবার ডিভোর্স দেওয়ার প্রবণতাও দেখা যাচ্ছে।

 

মা হতেও ভাবছেন মেয়েরা,

অতীতে, নারীরা ২০ বছরে পড়তে না পড়তেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতেন। মা হওয়ার প্রবণতা দেখা যেত তাদের মধ্যে। কিন্তু এখন, নারীরা সন্তান ধারণের বিষয়ে ভাবছেন। আদৌ মা হতে চান কিনা, সে বিষয়টা পুনর্বিবেচনা করছেন।

 

তারা মূলত, মা হওয়ার আগে পরিবার সামলানোর চাপ, ক্যারিয়ারে আর সুযোগ আসবে কিনা এবং বাচ্চাদের লালন-পালন করতে বিপুল খরচ হবে, এই সম্পর্কে চিন্তা করছেন। আজ, অধিকাংশ নারীই, তাদের পরিবারের মাথা। আর্থিক দিকটা সামলানো তাদেরই দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই আর্থিক স্বাধীনতার মধ্যে নারীরা নিজেদের সুখ খুঁজে পাচ্ছেন। তাই কেরিয়ারে আরও বেশি করে মনোযোগ দিতে চাইছেন।

 

অবিবাহিত, নিঃসন্তান নারীদের সংখ্যা যত বাড়বে, তা অর্থনীতিতে আরো বড় প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে। যে নারীরা বিয়ে এবং সন্তান ধারণ করতে দেরি করবেন বা এড়িয়ে যাবেন, তাদের আর্থিক সচ্ছলতা বেশি থাকবে। এভাবে ২০৩০ সালের মধ্যে, বিয়ে নিয়ে এবং সন্তান ধারণ করার বিষয়ে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তিত হতে পারে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments