Friday, November 8, 2024
Homeধর্মসিলেটে শাহপরাণের মাজারে ব্যাপক সং.ঘর্ষ, আ'হত অর্ধশতাধিক

সিলেটে শাহপরাণের মাজারে ব্যাপক সং.ঘর্ষ, আ’হত অর্ধশতাধিক

স্টাফ রিপোর্টার,

 

সিলেট শাহপরাণ (রহ.) মাজারের ওরসে আলেম-জনতার সঙ্গে ওরসপন্থিদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।

 

জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলে। পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

 

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ৩ দিন থেকে শাহপরাণ (রহ.) মাজারে বার্ষিক ওরস চলছিল। এর আগে সিলেটের আলেম সমাজ শাহপরাণ মাজার ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে ওরসের নামে অসামাজিকতা যাতে না হয় সে বিষয়ে সতর্ক করে। বৈঠকে কমিটির নেতারা ওরসে কোনো অসামাজিকতা হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

 

এমন অবস্থায় তিন দিন আগে শুরু হয় ওরস। ওরস চলাকালীন তৃতীয় কোনো পক্ষ যাতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি না করতে পারে সে জন্য আলেম-সমাজের একটি প্রতিনিধি দল প্রথম দিন থেকেই মাজার এলাকায় অবস্থান করে এবং সার্বিক বিষয়ে নজরদারি রাখে।

 

এরই ধারবাহিকতায় সোমবার দিবাগত রাতেও তারা মাজারের মসজিদের সিঁড়িতে বসে কুরআন তিলাওয়াত ও গজল পরিবেশন করছিলেন। এ সময় ওরসে আসা মাথায় লাল কাপড় বাঁধা কিছু লোক তাদের ওপর হামলা করে মারধর শুরু করেন। এই পরিস্থিতি হামলার শিকার মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা এ সময় মসজিদের ভেতরে আশ্রয় নেন।

 

খবর পেয়ে এলাকার শতাধিক লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে মসজিদে আশ্রয় নেওয়া ছাত্র-শিক্ষককে উদ্ধার করেন এবং ওরসপন্থিদের ওপর চড়াও হন। ওরসে আসা লোকজনের তাঁবুগুলো ভেঙে দেওয়া হয়। পরে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

 

এ ব্যাপারে শাহপরাণ থানার ওসি হারুন-অর-রশীদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, মাজারের ওরসে আসা লোকজনের সঙ্গে আলেম সমাজের প্রতিনিধি দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।

এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তবে এখানে সুনির্দিষ্টভাবে কেউ মাজারে হামলা করতে আসেনি।

এ ঘটনায় কারা জড়িত, তা এখনো চিহ্নিত করা যায়নি। তবে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে। ফুটেজ খতিয়ে দেখে হামলাকারীদের চিহ্নিত করা হবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments