নিউজ ডেস্ক :
হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের মিছিলে গুলি করার ঘটনায় আরও একটি মামলা করা হয়েছে। বন্দুকধারী শাহ নেওয়াজসহ ৫৮ জনের নাম উল্লেখ ও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলাটি করা হয়।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক মো. আবু হানিফ সিলেটের কাগজ কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রোববার রাতে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ শহরতলীর আলমপুর গ্রামের বাসিন্দা মোশাহিদ মিয়া মামলাটি দায়ের করেন।
বাদী মোশাহিদ মিয়ার অভিযোগ, ৫ আগস্ট তিনকোনা পুকুর পাড় এলাকায় আসামিদের কয়েকজন আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলিবর্ষণ করলে তিনিসহ অনেকে রক্তাক্ত আহত হয়েছেন। পরে আন্দোলনকারী ছাত্রজনতা এক হয়ে অগ্রসর হলে আসামিরা পালিয়ে যায়।
সংঘর্ষের দিন বন্দুক হাতে আওয়ামী লীগের পক্ষ নেওয়া শাহ নেওয়াজকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন- শেখ সামছুল হক, সাইদুর রহমান, মো. আহাদ মিয়া, মর্তুজা হাসান, মহিবুর রহমান মাহী, তজম্মুল হক চৌধুরী, মোস্তফা কামাল আজাদ রাসেল, ফয়জুর রহমান রবিন, মাহফুজ মিয়া, সোহেল আরমান, আশিক মিয়া, গৌতম কুমার রায়, শাহ জালাল উদ্দিন জুয়েল, মিজানুর রহমান আরিফ, মহসিন মিয়া, মোফাচ্ছিরুল ইসলাম মুফতি, সাখাওয়াত হোসেন সেতু, তারা মিয়া, আলাউর রহমান শাহেদ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের একদফা দাবিতে ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ প্রথম দিন বেলা ১২টায় হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজের সামনের রাস্তায় হাজারো ছাত্র-জনতা অবস্থান নেন। পরে তারা টাউন হলের দিকে এলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও সেখানে অবস্থান নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালান। এতে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রিপন শীল নামে একজনকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় গত ১৫ আগস্ট সাবেক এমপি মো. আবু জাহিরসহ ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করে আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছিল।