জালাল উদ্দিন লস্কর,(হবিগঞ্জ প্রতিনিধি):::
মাধবপুর থানা পুলিশ নোয়াপাড়া চা বাগানের গভীর জংগলে গরু চড়াতে গিয়ে হত্যাকান্ডের শিকার বাবুল হত্যার সন্ধিগ্ধ আসামী লাল মিয়াকে আটক করেছে।জিজ্ঞাসাবাদে লাল মিয়া বাবুল হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।লাল মিয়ার স্বীকরোক্তি মতে অন্য ৫ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
লাল মিয়া চুনারুঘাট উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামের চেরাগ আলীর ছেলে।গত ১৮ জুলাই পুলিশ বাগানের অভ্যন্তরের গভীর জংগল থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
গত বুধবার (২৩ আগস্ট) রাতে চুনারুঘাট থেকে মাধবপুর থানার ওসি রকিবুল ইসলাম ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে লাল মিয়াকে আটক করেন।পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
হবিগঞ্জ আমল গ্রহণকারী আদালত ৬ এর বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলামের আদালতে হত্যার সাথে জড়িত মর্মে স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দী প্রদান করেন লাল মিয়া।
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী আজ শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকালে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এ জানান,বাবুল হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ সুপারের সার্বক্ষণিক তদারকি ও নির্দেশনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা,মাধবপুর থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাষার কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় চুনারুঘাট উপজেলার কালিনগর গ্রাম থেকে লাল মিয়াকে আটকের পর গ্রেফতারকৃত লাল মিয়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের সাথে প্রতক্ষ্যভাবে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
পরবর্তীতে তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হলে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় তিনি নিজে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেন।সেই সাথে মোঃ বশির মিয়া, পিতা-আব্দুল মন্নাফ, সাং-কালিনগর,, আব্দুল কাইয়ুম, পিতা-আব্দুল মতিন,, আব্দুল জব্বার, পিতা-সৈয়বুল্লা, উভয় সাং-পানছড়ি আশ্রয়ন, জিলু মিয়া, পিতা-আব্দুল আহাদ, সাং-কলিনগর, ও সবুজ মিয়া, পিতা-তোতা মিয়া, সাং-উত্তর কালিনগর, সর্বথানা-চুনারুঘাট, জেলা-হবিগঞ্জ সহ আরো কয়েকজন আসামীর নাম প্রকাশ করে জবানবন্দি দেয়।
আসামীর দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অনুসারে পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় চুনারুঘাট থানার দুর্গম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২৪ আগস্ট রাতে মোঃ বশির মিয়া, আব্দুল কাইয়ুম, আব্দুল জব্বার, জিলু মিয়া ও সবুজ মিয়াদের গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য গত ১৮ জুলাই মাধবপুরের নোয়াপাড়া চা বাগানের কাছে পাহাড়ের ভেতর থেকে বাবুল মিয়া নামের এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।বাবুল মিয়া ইটাখোলা মুড়াপাড়া গ্রামের সাহেব আলী সর্দারের ছেলে।১৪ জুলাই বাবুল মিয়া গরু চড়াতে পাহাড়ে গিয়ে নিখোঁজ হন।অনেক খোঁজাখুঁজি করে বাবুলের কোনো সন্ধান না পাওয়ায় ১৭ জুলাই তার পরিবারের পক্ষ থেকে মাধবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়। জানা গেছে হত্যাকারীরা বাবুলের চড়ানো গরু চুরি করতে গেলে বাবুল বাঁধা দেয়।ক্ষিপ্ত হয়ে বাবুলকে প্রাণে মেরে ফেলে তারা।