নিজস্ব প্রতিবেদক,
হবিগঞ্জে ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মোস্তাক মিয়া নামে এক শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় এক আসামিকে আটক করেছে র্যাব।আটককৃত আসামির নাম কাশেম মিয়া (২৭)।
মোস্তাক মিয়া হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ৪৭ নম্বর আসামি কাশেম। তিনি বানিয়াচং উপজেলায় পাতারিয়া গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে।
বুধবার দিবাগত রাতে র্যাবের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আসামি কাশেমকে আটক করে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-৯ সিলেটের মিডিয়া অফিসার ও সহকারী পুলিশ সুপার মো. মশিহুর রহমান সোহেল।
র্যাব জানায়, গত ২ আগস্ট দুপুর দেড়টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা হবিগঞ্জ শহরের কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকে। পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কিছু সদস্যও সেখানে ছিল। এ সময় শায়েস্তানগরের দিক থেকে আসা একটি বিক্ষোভ মিছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে দিয়ে এসে ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেয়।
এদিকে, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা টাউন হল রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিলে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় তিনকোণা পুকুরপাড় এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েকশ’ রাউন্ড টিয়ার শেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
জানা গেছে, নিহত মোস্তাক মিয়া সিলেট জেলার বাসিন্দা। তিনি একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের হয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) হবিগঞ্জের একটি প্রকল্পে লাইনম্যান হিসেবে কাজ করতেন। এ ঘটনায় গত ২১ আগস্ট ১১১ জনের নামোল্লেখ ও দেড়শ’ অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবু জাহিরসহ সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা অন্যতম আসামি।