বিশেষ প্রতিনিধি,
হবিগঞ্জ শহরের নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কলেজের ইনস্ট্রাক্টর, অফিস সহকারী ও ইনচার্জের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষার্থীরা এরইমধ্যে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন হবিগঞ্জ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের তিন প্রশিক্ষক কল্পনা রাণী ঘরামী, সালমা বেগম ও সম্পা রাণী দাশ, উচ্চমান সহকারী মতিউর রহমান এবং অফিস সহকারী সিরাজুল হক সুজন।
বুধবার বিকেল ৩ টার দিকে কলেজের সামনে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন শত শত শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীরা জানান, হবিগঞ্জ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজে ভর্তি ও মেডিকেল টেস্ট বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে চারগুণ টাকা লুটে নেন তারা। এতে তারা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদনের পর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
তারা বলেন, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতর ৪ হাজার ৪১০ টাকা ভর্তি ফি নির্ধারণ করেছেন। কিন্তু হবিগঞ্জ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজে অন্যায়ভাবে ১৬ হাজার টাকা পর্যন্ত ভর্তি ফি নেয়া হয়। দুই-তিনশ টাকা খরচের মেডিকেল টেস্ট বাবদ টাকা নেয়া হচ্ছে দেড় হাজার। টাকা দিলেও অনেকের টেস্ট হয়নি।
শিক্ষার্থীদের থেকে নেয়া অতিরিক্ত টাকা উচ্চমান সহকারী মতিউর রহমান ও অফিস সহকারী সিরাজুল হক সুজন একত্রিত করে রাখেন। পরে পাঁচ বন্টন হয়। এছাড়া শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসে খাবারের যে পরিমাণ টাকা তোলা হয় সেখান থেকে প্রতি মাসে উদ্বৃত্ত ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা শিক্ষার্থীদের ফেরত না দিয়ে ইনচার্জ কল্পনা রানী ঘরামী আত্মসাৎ করেন।
অভিযুক্তরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসাদচরণ করেন এবং কটু বাক্য ব্যবহার করেন। পাশাপাশি তারা শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করেন। যে কারণে বাধ্য হয়ে তারা আন্দোলনে নেমেছেন। শিক্ষার্থীদের একটাই দাবি তাদের পদত্যাগ। এদিকে বুধবার বিকেলে আন্দোলনের এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষকদের কোয়ার্টারের গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি লাইন বন্ধ করে দিয়েছেন।