বিনোদন প্রতিবেদক :
জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি অভিনেত্রী পরিচয়ের বাইরে রাজনীতিতেও বেশ সক্রিয় ছিলেন। যদিও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তেমন সাফল্য পাননি। তাই তো মাহি গেলো দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে। কিন্তু নিজ এলাকা রাজশাহীতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি এই নায়িকা।
দেশের ক্ষমতার পট পরিবর্তন অর্থাৎ শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন বিপাকে পড়তে পারেন মাহিয়া মাহি। কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে এখনও কালো তালিকায় পড়েননি ‘অগ্নি’খ্যাত এই তারকা। ইতিমধ্যে বিদেশ ঘুরে দেশে ফিরেছেন। এখন পর্যন্ত পড়তে হয়নি কোনও বাধায়। কিন্তু অন্য একটি বিষয় এখন মাহি’র মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মাহি জানিয়েছেন, তার বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পুরনো একটি ফেসবুক পেজ। যার নিয়ন্ত্রণ তার হাতে নেই। তাও আবার ভেরিফায়েড (নীল ব্যাজ) পেজ। ২০১৪ সালে মাহি’র এই পেজটি হ্যাকড হয়। এখান থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কিছু ছড়ানোও হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তা নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি মাহি। আর এর কারণ মাহি নিজের অ্যাকাউন্ট বা পেজ ভেরিফাইডও করতে পারছে না। বাধ্য হয়ে ভক্ত – শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে পরামর্শ চেয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে মাহি বলেন, এই ভেরিফাইড পেজটা আমার কন্ট্রোলে নেই। ২০১৪ সালে কে বা কারা হ্যাক করেছিলো। যেহেতু মাহিয়া মাহি নামে এটা ভেরিফাইড তাই আমার নতুন কোন পেজও আর ব্লু ব্যাজ পাচ্ছে না।
এদিকে, গেলো সপ্তাহে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি গিয়েছিলেন দেশের বাইরে। এয়ারপোর্টে তাকে দেড় ঘণ্টা অপেক্ষায় রেখে বিশেষ খোঁজ চলেছে নথিপত্রে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে তার নাম আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হয়েছে বলে জানা যায়। তেমন কিছু না থাকায় বিদেশে যাওয়ার সবুজ সংকেত পেয়েছিলেন তিনি।