ক্রীড়া প্রতিবেদক,
পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে লড়ছে বাংলাদেশ। শুরুতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফলো অনের শঙ্কায় থাকলেও লিটন-মিরাজের দৃঢ়তায় সেটা পেরিয়ে গেছে টাইগাররা। মিরাজ ফিরলেও সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন লিটন।
রাওয়ালপিন্ডিতে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ আট উইকেটে ২১৬ রান। প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রান করা পাকিস্তানের চাইতে এখনো ৫৮ রানে পিছিয়ে টাইগাররা।
বিনা উইকেটে ১০ রান নিয়ে তৃতীয় দিন ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ সকালের প্রথম ১০ ওভারের মাঝেই হারায় ছয় উইকেট। রান যোগ করতে পারে মাত্র ১৬। এ অবস্থায় নিজেদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন ৪৩ রানে অল আউট হওয়ার আগের রেকর্ড ভাঙার স্বপ্ন চোখ রাঙাচ্ছিল টাইগারদের।
সেখান থেকে দলের হাল ধরেন লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। শুরুটা ধরে খেললেও খারাপ বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে দ্বিধাবোধ করেননি তারা। দুজনের শক্ত জুটি শতক পূরণের সঙ্গে সঙ্গে ফলো অন এড়ায় বাংলাদেশ। একই সঙ্গে স্বস্তি নামে টাইগার শিবিরে।
ফলো অন এড়ানোর পরপরই ফিফটির দেখা পান লিটন। অর্ধশতকের দেখা পান মিরাজও। দুজনের ব্যাটে একসময় লিডের স্বপ্নও দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু চা বিরতির একটু আগে ঘটে ছন্দপতন। যেখানে জোড়া আঘাত হানেন খুররাম শাহজাদ।
প্রথমে ৭৮ রান করা মিরাজকে কট অ্যান্ড বোল্ডের মাধ্যমে সাজঘরে ফেরান খুররাম। এর মাধ্যমে ভাঙে লিটন-মিরাজের ১৬৫ রানের জুটি। টেস্ট ক্রিকেটে সপ্তম উইকেটে এটাই বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বাধিক রানের জুটি। এর আগে চলতি সিরিজের প্রথম টেস্টে সপ্তম উইকেটে রেকর্ড ১৯৬ রানের জুটি গড়েছিলেন মুশফিকুর রহিম ও মিরাজ।
এর কিছু পরই তাসকিন আহমেদকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন খুররাম। তার বিদায়ের পরই চা বিরতির ঘোষণা দেন আম্পায়াররা। বিরতির পর দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন লিটন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন হাসান মাহমুদ।
আবরার আহমেদের বলে চার হাঁকিয়ে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি পূরণ করেন লিটন। ১৭১ বলে এ মাইলফলকে পৌঁছান তিনি।