দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সীমা বেগম (১৪) নামের কিশোরীকে মারধর করার অভিযোেগ উঠেছে প্রতিপক্ষ লোকজনের বিরুদ্ধে।
বুধবার (৭ আগষ্ট) সকালে দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাও ইউনিয়নের নতুননগর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় আদালতে একটি
সিআর মোকদ্দমা হয়েছে। মোং নং সিআর-২৩৯/২০২৪।
আহত সীমা বেগম আব্দুল হান্নানের মেয়ে। স্থানীয় দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে সীমা বর্তমানে নিজ বাড়িতে রয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সীমা বেগমের পিতা বাদী হয়ে চারজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, একই বাড়ি ও সীমানায় বসবাস কারী দুই পরিবারের মেয়েদের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় একই সীমানার প্রতিবেশী আব্দুল হান্নান ও জব্বার আলীর মেয়েদের মধ্যে হাতাহাতি ও এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিটের ঘটনা ঘটে এতে উভয়পক্ষের দুজন আহত হন। গুরুতর আহতরা হলেন বাদীপক্ষের ভুক্তভোগী সীমা বেগম (১৪) ও বিবাদী জব্বার আলীর মেয়ে রিপা বেগম (২১) সিদ্দেকা বেগম (১৮)।
১২/০৮/২০২৪ ইং তারিখ সরেজমিনে গেলে
স্থানীয়রা জানান, বাদীপক্ষের মেয়েরা প্রবাসে টাকা উপার্জন করে, বিবাদীপক্ষের তিন মেয়ে ঘরে, বিয়ের উপযুক্ত। এসব বিষয় নিয়ে খুটাখাটি উভয় পরিবারের মধ্যে ঝগড়াঝাটি ও মারামারি সৃষ্টি হয়।
এব্যাপারে বাদী পক্ষের আব্দুল হান্নান বলেন, আমি একজন অসুস্থ মানুষ, সেই সুবাদে তুচ্ছ কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আমার অবুঝ মেয়েকে মারপিট করেছে জব্বার আলীর স্ত্রী ও ২/৩ মেয়ে মিলে। যদি লোকজন আমার মেয়েকে মারপিট থেকে রক্ষা না করতো তাহলে আমার মেয়েকে লাশ করে ফেলতো প্রতিপক্ষের লোকজনেরা। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
বিবাদী পক্ষের জব্বার আলীর স্ত্রী বলেন, পাশের বাড়ির হান্নানের মেয়েরা সবসময় খুটা দেয় তরারে কোন বেটাইনতে বিয়া করে না এসব কথা নিয়েই ঝগড়াঝাটি। হান্নানের দুই মেয়ে মিলে আমার মেয়ে রিপার হাতের আঙুল কেটে ফেলেছে। আমি এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বদরুল হাসান বলেন, নতুন নগর গ্রামে মারামারির ঘটনা শুনেছি তবে তারা থানায় আসেনি আদালতে মামলা করেছেন।