বিশেষ প্রতিনিধি,
আইনজীবীকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে মামলার আবেদন করেন ভুক্তভোগী আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে কোতোয়ালি থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামি করা হয়েছে- পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, সাবেক ডিসি লালবাগ জোন জাফর হোসেন, সাবেক এসি কোতোয়ালি শাহীনুল রহমান, বর্তমান ডিসি প্রসিকিউশন আনিসুর রহমান, সাবেক এডিসি কোতোয়ালি মুহিত কবির সেরনিয়াবাত, সাবেক এডিসি লালবাগ জোন শহিদুল ইসলাম, কোতোয়ালি থানার সাবেক ওসি শাহিনুর রহমান, ওসি (অপারেশন) নাজমুল হাসান, ওসি (তদন্ত) মেহেদী হাসান, এসআই শাহাবুদ্দিন হাওলাদার, কনস্টেবল মো. মাহবুব আলম, মো. আব্দুর রশীদ, রমজান মোল্লা ও বাবুবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফাহেয়াত উদ্দিন রক্তিম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর আইনজীবীদের সংগঠন ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট ঢাকা বার ইউনিটি পদযাত্রার আয়োজন করে। ঢাকা আইনজীবী সমিতির সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। এরপর মিছিলটি আদালতের সামনের প্রধান সড়কে এলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে বেশ কয়েকজন নারী আইনজীবীকে শ্লীলতাহানি করা হয়। এর প্রতিবাদ করতে গেলে এক পর্যায়ে পুলিশ আইনজীবীদের বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। এতে অনেক আইনজীবী গুরুতর আহত হন। এখনো কয়েকজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আইনজীবীদের গতিরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে তাদের গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেন বলে আবেদনে অভিযোগ করা হয়।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় মামলাটি যৌক্তিক সময়ে করা সম্ভব হয়নি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে আইনের শাসনের শুভ সূচনার পর মামলা করেন বলেও বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন।