শাহ সুমন বানিয়াচং ঃ-
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে পূর্ব বিরুধের জের ধরে স্বামীকে না পেয়ে মিনারা বেগম (৪৫) নামের ৩ সন্তানের জননীকে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। নিহত মিনারা উপজেলার ৯ নং পুকড়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান কনাই মিয়ার স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (১১ আগস্ট) রাত ১ টায় নিহতের বসত ঘরে। বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে মরদেহ নিয়ে বানিয়াচং সেনাক্যাম্পে এসে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান নিহতের স্বামী কনাই মিয়া।
সূত্র জানায়, দৌলতপুর গ্রামের টেনু মিয়া, জিলাই মিয়া, হারুন মিয়া, আনোয়ার মিয়ার সাথে কনাই মিয়ার ছোটভাইয়ের টাকা পাওনা নিয়ে বিরুধ চলছিল। এর জের ধরে রোববার সকালে গ্রামের বাজারের একটি দোকানে কনাই মিয়াকে আটক করে রাখেন প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন কনাইকে উদ্ধার করেন। এসময় কনাইকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যার হুমকি দেয় তারা।
রাতে ঘুমানোর সময় স্ত্রী মিনারা কৌশল করে স্বামীকে অন্যকক্ষে সরিয়ে রাখেন। রাত ১ ঘটিকায় ৫ থেকে ৭ জন লোক দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেস করে কনাই মিয়াকে না পেয়ে স্ত্রী মিনারাকে ছুরিকাঘাত করে। রাতেই তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেটে এম এ জি ওসসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সোমবার রাত ৩ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিনারা মারা যান।
নারী পুলিশ সদস্য না পাওয়ায় একদিন পর মঙ্গলবার নিহতদের ময়না তদন্ত শেষ করে বুধবার মরদেহ নিয়ে বানিয়াচং সেনাক্যাম্পে আসেন স্বামী কনাই মিয়া। কনাই মিয়া জানান থানা পুলিশ না থাকায় সেনা অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বানিয়াচংয়ের দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর মেজর মাহি আহমেদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অলরেডি পুলিশ আসা শুরু করেছে, থানায় মামলা দায়ের করলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পুলিশকে সহায়তা করা হবে।