বিশেষ প্রতিনিধি,
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দ্বারা অবাঞ্ছিত ও নির্লজ্জ ঘোষিত হওয়ার পর পদত্যাগ করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) তিন কর্মকর্তা। তারা হলেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমান, ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি দফতরের পরিচালক অধ্যাপক ড. জহিরুল ইসলাম ও আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর তৈমুর।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে সদ্য পদত্যাগ করদ ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এরআগে, গত ৭ আগস্ট উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষসহ প্রশাসনিক বডির সবাইকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক দল। না করলে তাদেরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে বলে জানান তারা।
সমন্বয়ক দলের আলটিমেটামের নির্ধারিত সময় সীমার মধ্যে প্রক্টরিয়াল বডি ও আবাসিক হলগুলোর প্রভোস্ট বডির দায়িত্বরত শিক্ষকরা তাদের পদত্যাগ পত্র জমা দেন।
এরপর সমন্বয়ক দলের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী যারা নির্ধারিত সময়ে পদত্যাগ করেনি, তাদেরকে সমন্বয়ক দল ক্যাম্পাসে আজীবন অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। একইসঙ্গে তাদেরকে নির্লজ্জ প্রশাসক হিসেবে মন্তব্য করা হয় সমন্বকদের ঘোষণাপত্রে।
রেজিস্ট্রার দফতর সূত্রে জানা যায়, সমন্বয়ক দলের এমন ঘোষণা ও সাধারণ শিক্ষার্থী সমালোচনার তোপের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতর প্রধানরা।
তবে এখনো শিক্ষার্থীদের আলটিমেটামে পদত্যাগ করেননি বঙ্গবন্ধু গবেষণা সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আবদুল গণি, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. লায়লা আশরাফুন এবং কৃষি ও খনিজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবু সায়েদ আরেফিন খাঁন।
এদিকে শিক্ষার্থীরা পদত্যাগ না চাওয়া সত্ত্বেও দফতর পরিচালনা থেকে পদত্যাগ করেন ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মুহসিন আজিজ খান।