বিশেষ প্রতিনিধি,
উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের পদত্যাগের পর প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে সবশেষে পদত্যাগ করল শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কবির হোসেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক পদ থেকে সরে আসে প্রক্টরিয়াল বডি এবং আবাসিক হলগুলোর প্রভোস্ট বডির সদস্যরা। এতে অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
শনিবার (১০ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টায় উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমান।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১০ জুলাই উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান শাবিপ্রবির পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. কবির হোসেন। কিন্তু তার উপ-উপাচার্য মেয়াদ ১ বছর পার না হতেই সরকার পতন ও শিক্ষার্থী আল্টিমেটামের কারণে পদত্যাগ করতে হয় তাকে।
এদিকে শনিবার (১০ আগস্ট) বিকালে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের পরও উপ-উপাচার্য তার স্বপদে বহাল থাকতে অনড় ছিলেন। এ নিয়ে তিনি শনিবার বিকালে জনসংযোগ দফতরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও পাঠান।
এ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেছিলেন, উপ-উপাচার্য হিসেবে সুস্পষ্ট করে আমার সন্তানতুল্য ছাত্রছাত্রীদেরকে বলতে চাই, প্রায় ৩৪ বছর শিক্ষকতা করার পর যদি মনে করো আমার সেবা তোমাদের আর প্রয়োজন নাই; তাহলে বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দিক নির্দেশনায় মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট আমি পদত্যাগ করতে সর্বদা প্রস্তুত আছি।
তার এই বিবৃতি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিউজও হয়। নিউজটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা সেখানে সমালোচনার পাশাপাশি তার পদত্যাগের তীব্র দাবিও জানান।
এছাড়া গত বুধবার (৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পদত্যাগের জন্য তাকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। এতে পদত্যাগ না করলে তাকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আজীবন অবাঞ্ছিত ঘোষণা ও তার কার্যালয়ে তালা দেয় বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটামের চাপে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সব সদস্য ও আবাসিক হলগুলোর প্রভোস্ট বডির সদস্যরা রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেয়।