লাইফস্টাইল ডেস্ক,
বন্ধুত্বের কোনো বয়স নেই। জীবনে পরিবারের পরেই বন্ধুত্বের অবস্থান। মাঝেমধ্যে পরিবারকেও ছাপিয়ে যায় বন্ধুত্ব। রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও হয়ে ওঠেন বিশ্বস্ত সঙ্গী। বন্ধু মানে নিছক আড্ডার সঙ্গী হওয়া নয়, বরং বন্ধুর খুশিতে খুশি হওয়া, বন্ধুর দুঃখের সঙ্গী হওয়া। বন্ধুর বন্ধুর পথে পথচলার চালিকা শক্তি হওয়া। বন্ধুকে সফলতার পথে এগিয়ে দেওয়া।
বন্ধুদের সঙ্গে সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক বজায় রাখবেন যেভাবে-
বিশ্বস্ত হোন
বন্ধুত্বসহ যেকোনো সম্পর্ক গড়তে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তিনটি জিনিস হলো সহযোগিতা, বিশ্বাস ও সততা। একে অপরকে সহযোগিতার মাধ্যমে একটি সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব। যদি বন্ধুদের প্রয়োজনের সময় তাদের পাশে না থাকতে পারি তবে ধীরে ধীরে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বন্ধুদের সঙ্গে সৎ থেকে তাদের বিশ্বাস অর্জন করতে না পারলে সেই বন্ধুত্ব দীর্ঘস্থায়ী হয় না। বন্ধুকে যদি ভরসা করতে না পারি তবে তারা যেমন আমাদের ভালো বন্ধু হতে পারে না, তেমনি নিজেকেও বন্ধুদের ভরসাস্থল করে তুলতে না পারলে বন্ধুত্বের সম্পর্ক মজবুত হয় না।
গুরুত্ব দিন
আপনার কোনো বন্ধু খুব আগ্রহ নিয়ে আপনাকে কিছু বলছেন, কিন্তু তার কথায় আপনি একদমই মনোযোগ দিচ্ছেন না। দেখবেন একটা সময়ে আপনার বন্ধু বিশ্বাস করতে শুরু করবেন, আপনার কাছে তিনি গুরুত্বপূর্ণ নন। এভাবে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য বন্ধুদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা প্রয়োজন।
সম্মান বজায় রাখুন
অন্যের মতামতকে সবসময় সম্মান করা প্রয়োজন। আপনার বন্ধু আপনার সঙ্গে তার জীবনের কতটুকু শেয়ার করতে আগ্রহী তা বোঝার চেষ্টা করুন। বন্ধু বলেই যে সে তার জীবনের সবকিছু আপনাকে জানাবে এমন আশা করা ঠিক নয়। মাঝেমধ্যে সে হয়তো এই সম্পর্ক থেকে সাময়িক বিরতিও নিতে পারে। তাদের এরকম সিদ্ধান্তকে সম্মান করুন ও তাদের সময় দিন। বন্ধুদের আড্ডায় এমন কোনো মজা করা উচিত নয় যাতে তিনি বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন।
সমালোচনা নয়
আপনার বন্ধুর কোনো বিষয় আপনার ভালো না লাগতে পারে। বন্ধুর ভাবনা বা চলাফেরা আপনার থেকে আলাদা হতেই পারে। তবে তার ভাবনা, পোশাক বা চিন্তাভাবনার সঙ্গে নিজের মিল না পেলে অন্যদের সঙ্গে তা নিয়ে সমালোচনা করা একেবারেই ঠিক নয়। এতে সম্পর্ক নষ্ট হয়।
ক্ষমা করতে শিখুন
মানুষ মাত্রই ভুল করে। যেকোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রও ভুল হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। বন্ধুত্বের মতো সুন্দর সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হলে অবশ্যই ক্ষমা করা শিখতে হবে। যদি কখনো মনে হয় আপনার বন্ধুর না কোনো কাজে আপনি কষ্ট পাচ্ছেন, তবে তাকে বুঝিয়ে বলুন। যদি তিনি নিজের ভুল বুঝে ক্ষমা চান তাকে ক্ষমা করে দিন। আবার যদি বুঝতে পারেন আপনার কোনো কোনো ভুলের জন্য বন্ধু কষ্ট পাচ্ছে, তবে অবশ্যই ব্যাপারটি নিয়ে বন্ধুর সঙ্গে আলোচনা করুন।